উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বয়স্কদের বিদায় নিতে হবে পার্টি থেকে, সিপিএম-এর অন্দরে এমন ঘোষণা হয়েছিল সম্প্রতি। তবে এবার দলে 'খবরদারি' কমানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানান হয়েছে যে, গণ সংগঠনগুলির কমিটির ওপর এবার পার্টির খবরদারি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই খবর সিপিএম সূত্রে। এছাড়াও কমিটিগুলি থেকে নিষ্ক্রিয় সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন মুখ আনার বিষয়েও জোর দেওয়া হবে বলে জানান হয়েছে।


সম্প্রতি তারুণ্যে ভরসা রেখে দলের রাজ্য কমিটির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭২-এ বেঁধে দিয়েছে সিপিএম। এবার গণসংগঠনগুলির জন্যও নেওয়া হল একাধিক সিদ্ধান্ত। গণ সংগঠনগুলির কমিটি ওপর পার্টির খবরদারি কমাতে হবে। কিন্তু নজরদারি চলবে।


সিপিএম সূত্রে বলা হয়েছে, সংগঠনে যুক্ত নন এমন বহু ছাত্র-যুবরা স্বতঃফূর্তভাবে রেড ভলান্টিয়ার্স হিসেবে কাজ করছেন। এঁদের জোর করে সংগঠনে যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে হলে নিজেরাই আসবেন। এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, কোথাও কোথাও পার্টি রেড ভলান্টিয়ার্সকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তাই অনেকেই সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দলের গণসংগঠনগুলির সম্মেলন, তার আগেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। 


সম্মেলনে সংগঠনগুলির কমিটি ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সিপিএম সূত্রে খবর, ছাত্র, যুব-সহ অন্যান্য গণ সংগঠনগুলির কমিটি থেকে নিষ্ক্রিয় সদস্যদের বাদ দিতে হবে। প্রায় ৬০ শতাংশ নতুন মুখকে জায়গায় দিতে হবে কমিটি গুলিতে।একই সংগঠনে বহুদিন ধরে রয়েছেন এমন সদস্যদের অন্য সংগঠনে পাঠাতে হবে। কমিটিতে যোগ্যতার বিচারে নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথাও বলা হয়েছে। 


সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সুজন চক্রবর্তী বলেন, "খবরদারি চালানো যাবেনা। নতুন মুখ আসুক। এবারও নতুন মুখে জোর। ছাত্র দের নিজেদের কাজ করতে দেওয়া হোক । রেডভলান্টিয়ার নিজেদের মত করুক । নজরদারি হোক।" অন্যদিকে, এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের কাছে এখন অনেক নতুন। মুখ বহু নতুন ছেলে মেয়ে যুক্ত । ধরে রাখতে চাই। সম্মেলনে এটাই ভাবনা ।" 
 
পার্টির মতো যুব সংগঠনের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৮ বছর বেঁধে দেওয়া হবে বলে খবর সিপিএম সূত্রে। ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের কথায়, "অনেক যুব আছে যারা লড়াই করেছে। নতুন করে নামছে সক্রিয় সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। সিপিএম সূত্রে দাবি, গত ৫ বছরে দলের গণসংগঠনগুলির ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সহ গণসংগঠনের কমিটিতে দলীয় খবরদারি কমাতে উদ্যোগী সিপিএম।