দীপক ঘোষ, কলকাতা: কলকাতা পুরভোটের (KMC Election) ফল ঘোষণার পর, এবার জেলাস্তরেও ব্যাপক রদবদল বিজেপির (BJP)। অপসারিত ৩০ জন সভাপতি। একইসঙ্গে রাজ্যের ৩৯টি সাংগঠনিক জেলা বাড়িয়ে ৪২টি সাংগঠনিক জেলা করা হয়েছে। নতুন ৩টি সাংগঠনিক জেলা হল মালদা দক্ষিণ, জয়নগর ও বোলপুর। ৩৯টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩০ টিতেই সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। 


দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভানেত্রী করা হয়েছে সংঘমিত্রা চৌধুরীকে। উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি হয়েছেন কল্যাণ চৌবে। কলকাতা উত্তরের দায়িত্বে শীলভদ্র দত্ত এবং দক্ষিণে সৌরভ শিকদার। 


কলকাতা পুরসভার ভোটে ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বামেরা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) তৃতীয় ভোট-পরীক্ষায় বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি (BJP)। এবার প্রাপ্ত ভোটের হারে, বিজেপিকে (BJP) টেক্কা দিল বামেরা। ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপি নেমে গেল তৃতীয় স্থানে বামেরা উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। ২০১৯ সালের লোকসভা কিংবা এবছরের বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে পদ্ম শিবির কলকাতার যে ক’টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল, পুরভোটের ফলে তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি তারা। এমনকী, ২০১৫ সালে নিজেদের প্রাপ্ত ওয়ার্ড সংখ্যার থেকেও বহু পিছনে থামল গেরুয়া গাড়ি। 


২০১৫ সালে কলকাতা পুরভোটে বিজেপি ৭টি আসনে জিতেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে ছিল ২২টি আসনে।। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে ১২টা ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু, এবার কলকাতা পুরভোটে তারা জিতল মাত্র ৩টি আসনে।


এদিকে, পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতাদের দিল্লিতে ডাক পাঠানো হয়েছে বলে খবর।  কলকাতা পুর নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে  বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতারা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।


গেরুয়া অন্দর সূত্রে খবর, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংঘটন বি এল সন্তোষ, শিবপ্রকাশের মতো কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এই সমস্ত বিষয়ের পাশাপাশি বিজেপি দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে তা নিয়েও আলোচনা হয় সেদিনের বৈঠকে। এরপর জেলাস্তরে এমন রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে।