বিটন চক্রবর্তী, আবীর দত্ত ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সামনেই পুরভোট! তার আগে, ফের একবার রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নন্দীগ্রাম। জমি আন্দোলনের আঁতুরঘরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হয়েছিল হাইভোল্টেজ লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী। যদিও নন্দীগ্রামের মাটিতে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে জারি রয়েছে লড়াই। বুধবার নন্দীগ্রাম দিবসে শিশির-পুত্রকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।


কী বলেছেন তিনি?


শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে কুণাল বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী তুমি যদি এক বাপের ব্যাটা হও, নন্দীগ্রাম থেকে তোমায় আমরা উচ্ছেদ করে ছাড়ব। শুভেন্দু হঠাও,....দেশ কি রাস্তার ল্যাজ নেড়ে বেড়ায়, নন্দীগ্রাম বাঁচাও, শুভেন্দু হঠাও...গদ্দার হঠাও...তৃণমূল খারাপ? তোমরা সমস্তটা ভোগ করেছ, করার পর তুমি তোমার মায়ের পিঠে ছুরি মেরেছো। রিকাউন্টিং ঠেকাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু, রিকাউন্টিং হতে দিন ২২ হাজার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখান থেকে জিতবেন, শুভেন্দু অধিকারীকে এই মাটি থেকে ঘাড় ধরে তাড়াব, লোডশেডিং করে ভোট জেতা?" 


তবে পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাঁথির হেভিওয়েট নেতা। শুভেন্দুর কথায়, "শহিদ পরিবারের নব্বই শতাংশ আমার সঙ্গে, পঞ্চায়েতেও দেখাব। শুভেন্দু এদের কথার উত্তর দেয় না। ছোট মুখ্যমন্ত্রী লক্ষণ শেঠকে হারিয়েছি। ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা শুভেন্দুর কাছে হেরেছে। শুভেন্দু এদের কথা উত্তর দেয় না। মমতা বললে উত্তর দেব।" 


আরও পড়ুন, 'নন্দীগ্রাম আগেও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে’ স্মরণসভার আগে বার্তা শুভেন্দুর


ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে বুধবার সকালে গোকুলনগরের কর পল্লিতে কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।  সেখান থেকেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, "ইলেকশন পিটিশন হয়েছে, আমাদের তো আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। দেখা যাক না, রেজাল্টটা কি হয়, ওরা পুনরগণনা হোক না, তাহলেই বোঝা যাবে কি হয়েছে, নির্বাচনের সময়, গণনার সময় বা ইভিএম, সব তো ট্যালি করে দেখা হবে।" 



কর পল্লিতে যখন তৃণমূলের কর্মসূচি চলছে...তখন, গোকুলনগরেরই জামবাড়িতে আলাদা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। পরে, দুপুরে গোকুলনগরের কর পল্লিতেও কর্মসূচি পালন করে গেরুয়া শিবির। তার আগে, গঙ্গা জল দিয়ে ধোয়া হয় শহিদ বেদী। দুপুরে তেখালি ব্রিজের কাছ থেকে মিছিল করে গোকুলনগরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী।


দলীয় কর্মসূচি থেকে পাল্টা সুর চড়ান নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "ওই ৬৫ হাজার লাগবে না, খেজুরি নন্দীগ্রাম একসঙ্গে থাকুন। বড় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন। আমরা জিতব।"