কলকাতা : নারদকাণ্ডে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে কড়া সুরে আক্রমণ শানালেন ফিরহাদ হাকিম। বাজেভাবে হেরে যাওয়ার জন্যই বিজেপি বাংলার মানুষের ওপর প্রতিহিংসা রাজনীতি করছে বলেই তোপ দাগেন তিনি। ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় নারদকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে বিজেপির এভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশবাসী দেখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকালে নারদকাণ্ডে বাড়ি থেকে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্ধেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করে। প্রভাবশালী তত্ব সামনে রেখে সিবিআইয়ের ১৪ দিনের হেফাজতের দাবি নাকচ করে দেন বিচারপতি অনুপম মুখোপাধ্যায়। জামিন পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেসবুকে তাঁর বক্তব্য রাখেন ফিরহাদ হাকিম।
তিনি লেখেন, 'আজ আমাকে ও আমার সতীর্থদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হল। বিজেপির প্রতিহিংসা আসলে বাংলার মানুষের প্রতি। বাংলার মানুষ যেভাবে বিপুল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছেন সেটা মেনে নিতে না পেরেই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কোভিড সংক্রান্ত সব কাজ রুখে দিয়ে বাংলাকে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। বাংলা তথা দেশের লাখো লাখো মানুষের মৃত্যুর থেকেও তাদের কাছে ক্ষমতার লোক্ষ অনেক বেশি।'
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ফেরার পরই কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর শীর্ষে ফেরা ফিরহাদ হাকিমের নারদকাণ্ড প্রসঙ্গে সংযোজন, 'কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২০১৪ সালে একটি স্টিং অপারেশনের নাটক সাজানো হয়েছিল। যার প্রমাণ এখনও হয়নি। শুধুমাত্র ভোটের আগে আমাদের হেনস্থা করার তাগিদে বিষয়টা সামনে তুলে আনা হয়। আসলে এটা প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।'
যারপরই আক্রমণের সুর বাড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম লেখেন, 'বাংলায় নির্বাচন জিততে কোটি কোটি টাকা ঢেলেও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। পিএমকেয়ার্স ফান্ডের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই দেশবাশীর। নেই জানার এক্তিয়ার। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে পিএম কেয়ার্স থেকে কী খরচ করা হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না, জানার কোনও উপায় নেই। সবশেষে এটাই বলতে চাইব কোটি কোটি টাকার বিনিময়েই আমাদের কিছু প্রাক্তন সতীর্থকে করায়ত্ত্ব করেছে বিজেপি। আসলে ওদের লক্ষ্যই তো প্রতিহিংসা, অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতা দখল। দেশের লাখো মানুষ মারা গেলেও প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য যেন।'