কলকাতা: নারদকাণ্ডে জামিন মঞ্জুর হল মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। নগর দায়রা আদালত তাদের জামিন মঞঢ্জুর করে। বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় প্রভাবশালী তত্ত্বের ভিত্তিতে জেল হেফাজতে রাখার সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করেন তাদের। সূত্র মারফত খবর, কলকাতা হাইকোর্ট বা উচ্চতর অন্য কোনও আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই।


সোমবার সকালে নারদকাণ্ডে জেরে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সুব্রত, ফিরহাদ, মদন, শোভন ছাড়াও জামিনে মুক্ত থাকা সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জার নামে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়। যার পরই সুব্রত, ফিরহাদ, মদন, শোভনকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়। যেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেছিলেন, ৪ জনই প্রভাবশালী, সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চায় সিবিআই। 



পাল্টা ফিরহাদ, সুব্রত, মদনদের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল আরেক আইনজীবীর। সওয়াল জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই লড়ছে কলকাতা পুরসভা। তাই তিনি জামিন না পেলে ব্যাহত হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রোটেম স্পিকার ছিলেন, তোলা হয় সেই প্রসঙ্গ। আর পাশাপাশি প্রত্যেকেরই বয়স ৫০-৬০-র কাছাকাছি, জেল হেফাজতে থাকলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার করাও মনে করিয়ে দেন তিনি।


চার্জশিট যেহেতু পেশ হয়েছে তাই জেল হেফাজতে তাদের থাকার প্রয়োজন নয় বলেই পর্যবেক্ষণ জানায় ব্যাঙ্কশাল আদালত। যে খবর পাওয়ার পরই তৃণমূলের তরফে ন্যায়-বিচারের জয় বলে প্রতিক্রিয়া দেন সাংসদ সৌগত রায়। সকাল থেকেই ৪ জন গ্রেফতারিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। নিজাম প্যালেসে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দফায় দফায় যেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। নেতাদের জামিনের খবর পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তারা।