নয়া দিল্লি : "UPA আবার কী ? UPA বলে কিছু নেই।" তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এই ইস্যুতে এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিলেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল। "ওঁর(মমতা) অবশ্যই ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত যে যারা ক্ষমতায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে উনি তৃণমূলকে প্রধান বিরোধী দল বানাতে চাইছেন নাকি সঙ্গী বিরোধী দলগুলিকে একহাত নিয়ে।" মন্তব্য করেন বাঘেল।
তিনি বলেন, কংগ্রেস ছাড়া জাতীয় স্তরে বিরোধী জোট সম্ভব নয়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসই প্রধান ভিত। ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান মুখ কে হবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে UPA-র নিয়ম অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে।
সম্প্রতি NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বাসভবনে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন পাওয়ার। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। যে "ফ্যাসিবাদ চলছে", তার বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী বিকল্পের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মমতা বলেন, "যে ফ্যাসিবাদ চলছে তার বিরুদ্ধে কেউই লড়াই করছে না। কিন্তু, শক্তিশালী বিকল্পের প্রয়োজন রয়েছে। শরদজি অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা। আমি এনিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। শরদজি যা বলেছেন তাতে আমি সহমত। UPA বলে কিছু নেই ।" তার আগে মুম্বইয়ে বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে কে হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ‘পরিস্থিতি ঠিক করবে কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন, বিজেপিকে (BJP) বোল্ড আউট করাই প্রথম লক্ষ্য, খেলা হবে।’
মমতার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভূপেশ বাঘেল বলেন, "আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে চাই যে, আপনি প্রধান বিরোধী দল হতে চান, সেটা ভাল কথা। যদি আপনি কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগনোর কথা ভাবেন, স্বপ্ন দেখাতে চান, তাহলে তা স্বাগত। কিন্তু প্রশ্ন হল, আপনি যারা ক্ষমতায় আছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নাকি সঙ্গী বিরোধী দলগুলিকে একহাত নিয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে চান ? তাছাড়া শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইউপিএ বলে কিছু নেই। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কী আলোচনা করলেন তা প্রকাশ্যে এল না কেন ?"