সোমনাথ দাস, হুগলি: বগটুইকাণ্ড নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। সেই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুললেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। কোনও রকম রাখঢাক না করে তিনি জানিয়ে দেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) হাত রয়েছে।


বগটুইকাণ্ডে তৃণমূলের হাত!


শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum Violence) রামপুরহাটের (Rampurhat Fire) উদ্দেশে রওনা দেন নওসাদ। বগটুই যাওয়ার পথে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাটে গিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করিয়েছেন। এর থেকেই প্রমাণিত ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে।’’


মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান নওশাদ। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেন তিনি।


আরও পড়ুন: Rampurhat Investigation: 'পশ্চিমবঙ্গ আর থাকার মতো নেই' রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় কান্না রূপার


সোমবার রাতে বগটুইয়ে প্রথনে খুন হন তৃণমূলের স্থানীয় উপপঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীর দল। রাত সওয়া ৮টা নাগাদ এই ঘটনার পর যখন থমথম করছে গোটা এলাকা, সেই সময় রাত ৯টা নাগাদ বগটুইয়ের গ্রামে ঢুকে পর পর ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে দুই শিশু-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়।


বগটুইকাণ্ডে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি


এই ঘটনায় বিগত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বালি-পাথর খাদানের টাকার বখরা নিয়ে বিবাদের জেরেই হত্যা এবং পাল্টা হত্যার ঘটনা বলে অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিট গঠন করে রাজ্য। তার পর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে বগটুই যান।


কিন্তু এ দিন কলকাতা হাইকোর্ট বগটুইকাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, রাজ্য সরকার যখন তদন্ত করছে, ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, আলাদা করে সিবিআই তদন্তের পিছনে কী অভিসন্ধি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তদন্তে গোয়েন্দাদের সবরকমের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য।