কাঁথি: দল ক্রমাগত খর্ব করছে তাঁর ক্ষমতা। কিন্তু শান্তিকুঞ্জে সরকারিভাবে এখনও ২-২। তাঁর দুই ছেলে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেও এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেননি কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। কিন্তু তাঁর ছেলেদের জড়িয়ে অধিকারী পরিবারের উপর নেমে আসা কটাক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। এবিপি আনন্দকে শিশিরবাবু জানিয়েছেন, ‘আমি কাদা ছোড়াছুড়িতে নেই ৷ শুভেন্দু আর আমার রাজনীতি আলাদা ৷ কিন্তু পরিবার এক ৷ গভীরভাবে এক। আমার পরিবারকে আক্রমণ করলে আমি কিন্তু ছাড়ব না ৷ রাজনীতির বিষয় কিছু বলতেই পারে ৷ কিন্তু অধিকারী পরিবারকে নিয়ে কেন বলবে ?’


সম্প্রতি কাঁথির সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করার সময় সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতার লেনদেনের বিষয়টি উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ। টেনে আনেন তাঁর পরিবারের প্রসঙ্গও। সঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র জোড়েন, 'আমি তো শিশিরদাকে দাদা বলি, তাহলে শুভেন্দুও তো আমার ভাইপো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ভাইপো হলে উনি কাঁথির ভাইপো।'

যে আক্রমণের পাল্টা শিশিরবাবু বলেছেন, 'ও তৃণমূলের মুখপাত্র হোক বা যেই হোক না কেন ৷  সারদায় উচ্চপদে থেকে অনেক টাকা ও নিয়েছে ৷ একজন রিপোর্টার ছিলেন সারদার সংস্থায় ৷ ১৬ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন ৷ ভারতের মতো অর্থনীতিতে কে এত টাকা পায় ? এগুলো তো সব সারদার টাকা ৷ গরিব মানুষের টাকা ৷ ওই টাকা ফেরত দিক ও। নাহলে ওঁকে ঘিরব আমরা। এখানে যারা টাকা হারিয়েছেন, তাদের বলব ওঁকে ঘিরতে।'

সঙ্গে তাঁর ছেলেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রসঙ্গে শিশিরবাবু জোড়েন, 'শুভেন্দু কেন ওই দল ছেড়েছে, তা নিয়ে বাইরে কী বলেছে জানি না ৷ কিন্তু বাড়িতে এই নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি ও ৷ আমাকে একবারের জন্যও বলেনি বিজেপিতে যোগ দিতে। বরং আগে ওই আমাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল, যখন আমি কংগ্রেস করতাম ৷ এবার কিন্তু কিছু বলেনি আমায় ৷'