কলকাতা : গোয়ায় একযোগে বিজেপি-কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। ত্রিপুরায় গেলে মারধর করা হচ্ছে, অসম-উত্তরপ্রদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না; এইসব অভিযোগ তুলে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই আক্রমণের পাল্টা খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


তিনি বলেছেন, কংগ্রেসকে মমতার সমালোচনা নিয়ে কিছু বলার নেই বিজেপির। একটা প্রশ্ন তৃণমূলনেত্রী নিজেকে করুন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা কেন কাজ করতে যান গোয়ায় ? গোয়া থেকে তো কেউ পশ্চিমবঙ্গে কাজ করতে আসেন না ?


আজ মমতা বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘ত্রিপুরাতে আমরা গেলে মারধর করা হচ্ছে। অসমে, উত্তর প্রদেশে আমার সাংসদদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গোয়ায় আমার পোস্টার বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে। এরকম করলে তো ওরা মুছে যাবে।’ আরও বলেন, তৃণমূল মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। তৃণমূলই একমাত্র সর্বভারতীয় দল যাদের সংসদে ৪১ শতাংশ নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি আছে। 


এপ্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন,"নারীর ক্ষমতায়ন মানে সমগ্র দেশের নারীরা যাতে ক্ষমতাবান হন। ভারতবর্ষে প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদি নিয়োগ করেন। তিনি কিছুদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন। এটাকে নারীর ক্ষমতায়ন বলে। কোনও একটি বিশেষ পরিবারের কোনও একজন নারীর ক্ষমতায়নকে নারীর ক্ষমতায়ন বলে না।"


তিনদিনের সফরে গোয়ায় রয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গোয়াতে নতুন সকাল আনতে হবে। আমি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, অভিন্ন ভারতে বিশ্বাস করি।’ মমতার আহ্বান, ‘একটা সুযোগ তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন। টিএমসি-র অর্থ টেম্পল মস্ক চার্চ। নাগরিক সমাজ আমাদের দলে যোগ দিন।


মমতা বলেন, ’আমিও গোয়ার সন্তান। আমাকে বিমানবন্দরে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে, আমি নমস্তে বলেছি। তৃণমূল কখনও আপস করে না, আমাদের পার্টি বিক্রি হওয়ার নয়।’


তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘সাইনবোর্ড হওয়ার জন্য গোয়ায় আসিনি। আমরা ভবিষ্যতে মহিলা সংরক্ষণ ও তারুণ্যে গুরুত্ব দেব।’ মমতা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আমরা গতিধারার নামে ট্যাক্সি কিনতে আর্থিক সাহায্য দিই। মৎস্যজীবীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, ঘর ভাঙলে সারানো হয়।’