করুণাময় সিংহ, মালদা: দলীয় প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশের নামে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগের জের। মালদায় দলের জেলা পরিষদের সদস্যাকে সাসপেন্ড করল বিজেপি। কোনও চিঠি আসেনি, প্রতিক্রিয়া সাসপেন্ডেড নেত্রীর। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এভাবেই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ! বাদ যায়নি কলকাতার হেস্টিংসে দলের অফিসও! এবার সেই ঘটনাগুলিতে পদক্ষেপ করতে শুরু করল গেরুয়া শিবির। মালদার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল বিজেপি। 


সাসপেন্ড করা হল মালদা জেলা পরিষদ সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী সাগরিকা সরকারকে। ১৮ মার্চ মালদা জেলার ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। এর মধ্যে ৬টি আসনে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয় দলের অন্দরেই! পরের দিন ব্যাপক ভাঙচুর চলে গাজোলে বিজেপির পার্টি অফিসে। সেখানেই দেখা যায় জেলা পরিষদ সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী সাগরিকা ঘোষকে।


রবিবার এই ঘটনায় সাগরিকা সরকার-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতানেত্রীকে শোকজ করে দল। এরপর মঙ্গলবার তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। মালদার বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছিল, এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। আমরা রাজ্যে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওদের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নিয়েছি। সাগরিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’


যদিও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দলের তরফে এ নিয়ে কোনও বার্তা পাননি বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী। সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী সাগরিকা সরকার জানান, ‘‘আমি এখনও কিছু জানি না। কোনও চিঠি আসেনি।’’


আর ভোটের মুখে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তাকে কটাক্ষ করতে সময় নেয়নি তৃণমূল। মালদার তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, ‘‘বিজেপিকে আদিনব্যের লড়াই চলছে। এতেই ধ্বংস হয়ে যাবে দল।’’


শেষ দুই দফায় মালদার ছটি আসনে ভোটগ্রহণ! তাতে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ কী কোনও প্রভাব ফেলবে? বোঝা যাবে দোসরা মে, ভোটের ফলপ্রকাশের দিন।