গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর: বীরভূমের বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া তৃণমূলের ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, হুগলিতে ডানকুনিতে বিজেপির ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার করে একে অপরের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব খাড়া করেছে দু’পক্ষ।
রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে উত্তপ্ত দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলা। কোথাও তৃণমূলের ফ্লেক্স, ফেস্টুন পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। কোথাও আবার ছেঁড়া অবস্থায় মিলল বিজেপির ব্যানার। শুক্রবার বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহর নির্বাচনী সভা উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের সুভাষ পল্লি এলাকায় লাগানো হয় ফ্লেক্স, ফেস্টুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া সেইসব ফ্লেক্স, ফেস্টুন শনিবার রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয় বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
বোলপুরের তৃণমূল নেতা নিমাই দাসের অভিযোগ, ‘তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ফ্লেক্স, ফেস্টুন লাগানো হয়। শনিবার রাতে বিজেপির দুষ্কৃতীরা সেগুলো ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।’
অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিজেপি। বীরভূমের বিজেপি জেলা সহ সভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘আমাদের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের।’
অন্যদিকে, রবিবার সকালে ডানকুনি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া যায় বিজেপির ব্যানার। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, নেপথ্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। হুগলির চণ্ডীতলার বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্তর দাবি, ‘আমাদের প্রচারে জনসমর্থন দেখে ভয় পেয়ে কেউ এটা করেছে। এভাবে রোখা যাবে না।’
পাল্টা বিজেপির ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে ঘাস-ফুল শিবির। ডানকুনির তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শম্ভু সাউয়ের পাল্টা দাবি, ‘বিজেপিই এই ধরনের কাজ করে। আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে প্রচারের আলো কাড়ার জেরেই এই ঘটনা।’
শনিবার এই ডানকুনি এলাকাতেই চণ্ডীতলার তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খোন্দকারের নামে দেওয়াল লিখনে কালি লেপে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় শাসকদল অভিযোগ তুললেও, তা অস্বীকার করে গেরুয়া শিবির।