কলকাতা : 'শুভেচ্ছাবার্তার জন্য় ধন্য়বাদ নরেন্দ্র মোদি জি। আশা রাখি পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের সবরকম সাহায্য পাব। আমার তরফে সমস্ত সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেব, আশা রাখি একসঙ্গে মিলে করোনা মহামারী ও অন্য সমস্ত চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করে কেন্দ্র-রাজ্যের সুসম্পর্কের নতুন উচ্চতায় পৌঁছনো যাবে বলেই প্রত্যাশা রাখি।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছাবার্তার প্রত্যুত্তরে এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বুধবার সকালেই তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরই ট্যুইটে ২ মে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া শুভেচ্ছাবার্তার উত্তর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রবিবার রাজ্য ২০০-র বেশি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পরই তৃণমূল সুপ্রিমোকে ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি সেদিন লিখেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে জয়ের জন্য মমতা দিদি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বঙ্গের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ ও বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে।'


বুধবার নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট শুভেচ্ছাবার্তার পাল্টা ট্যুইট করলেও মাঝে প্রধানমন্ত্রীর থেকে কোনও ফোন না পাওয়া ঘিরে উষ্ণাপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ফোন না পাওয়ার প্রসঙ্গ, যদিও সে বিষয় নিয়ে তিনি ভাবিত নন বলেই জানান।


বঙ্গে ক্ষমতা দখলের জন্য লক্ষ্য ছিল ২০০ আসন। আর সেই লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে ভোটের আগে বারবার ময়দানে নেমেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২১-এর মহারণের আগে একাধিকবার বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপি নেতা। ব্রিগেডে সমাবেশ থেকে নির্বাচনী প্রচার, কিছুই বাদ যায়নি। আবার প্রচার মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। শুধু কটাক্ষই নয়, ‘ দিদি ও দিদি’ বলে সম্বোধন করে বক্তব্য রাখতেও শোনা গিয়েছে মোদিকে। তা নিয়ে সরব হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।


আপাতত অবশ্য সেসব পিছনে ফেলে নতুন করে রাজ্য-কেন্দ্র সুসম্পর্ক তৈরির কাজ তাদের। তবে বারবার ভোটের প্রচার হোক বা অন্য রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, কেন্দ্র-রাজ্য দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে তুলেছে অসহযোগিতার অভিযোগ। আগামী দিনে সেই ধারাই বজায় থাকে নাকি গতিপথ অন্য রাস্তা ধরে, সেটাই দেখার।




এদিকে, বঙ্গে বিপুল ব্যবধানে জয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা, ডিমএকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর ভাবী মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ নেতারা শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছিলেন ট্যুইটারে। এদিন তাদের সকলকে আলাদা আলাদা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।