খড়গপুর : খেলা তো দেখাব আমরা। যাদের স্ট্রাইকার, ডিফেন্ডার সব আমাদের দলে এসে গেছে, তারা আবার কী খেলা দেখাবে? ওদেরকে এবার গ্যালারিতে বসাব। এই ভাষাতেই অনুব্রত মণ্ডলকে জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।


গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ বঙ্গ রাজনীতি সরগরম ‘খেলা হবে’ স্লোগানে। বীরভূমরে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বেশ কয়েকবার বলেছেন, ‘খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে’। যার পাল্টা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। তাদের পাল্টা ছিল ‘ওদের খেলা তো শেষ।’


এদিন খড়গপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে চা-চক্রে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই তিনি তৃণমূল থেকে আসা ‘স্ট্রাইকার-ডিফেন্ডার’ সমৃদ্ধ বিজেপি দল নিয়ে খেলা দেখানোর কথা বললেন।


গতকাল বীরভূমে জেপি নাড্ডার সভায় লোক না হওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তা নিয়ে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির চা চক্রে যোগ দেওয়া নিয়েও সওয়াল করে দিলীপ ঘোষ জুড়েছেন, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে এসে আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থাকছেন। কথা বলছেন। এটাই হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।’


এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণেরও পাল্টা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আগে বেশ কয়েকবার যে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,  তাতে শান বাড়িয়ে মঙ্গলবার বর্ধমানের কালনার জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগের সুর ছিল, ‘ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার এনে খান বিজেপি নেতারা। আর দেখান কৃষকদের বাড়ির দাওয়ায় খাওয়ার।‘ বিজেপি-র রথযাত্রা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। এদিন যার পাল্টা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, ‘ওনাদের জীবনযাপন কেমন, কী খান-কোথায় থাকেন সবাই জানে। আমরা তো কিছু লুকোই না।‘


বিজেপি-র রথযাত্রা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ’যাত্রাপথে যাতে ভালোভাবে যাওয়া যায় তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে ট্যাবলোতে। জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর যাত্রাপথ শুরু করেছি আমরা। সারা দেশেই এই জনসম্পর্ক অভিযান চালাই আমরা। আর ফাইভ স্টার বা ওরকম কিছু নয়, লোকের বাড়িতে বানিয়ে আনা খাবারই আমরা খাচ্ছি। গতকালও বাড়ি থেকে বানিয়ে নিয়ে আসা খাবারই হেলিকপ্টারে বসে খেয়েছি।’