সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম: ভাঙড়ের পর এবার মধ্যমগ্রাম। ফের আব্বাস সিদ্দিকির দলের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামে সভা করার কথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। সেই সভার জন্য গতকাল খামারপাড়া রমাগাছি গ্রামে পতাকা ও মাইক লাগাচ্ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির দল, ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, সেইসময় চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। মারধরে আহত হন আব্বাসের ৪-৫ জন অনুগামী। রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


গতকালই লেখার জন্য দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন ৭ জন। ভাঙড়ের শাকশহর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আহতদের নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাঙড় থানায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা  ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়।  কিছুদিন আগেই আব্বাস সিদ্দিকী ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে দল গঠন করে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। 


কিছুদিন আগেই বঙ্গসফরে এসেছিলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাস সিদ্দিক সঙ্গে দেখা করার পর জানিয়েছিলেন, তাঁকে সামনে রেখেই বঙ্গ বিধানসভার রণাঙ্গণে নামবে মিম। যা নিয়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছে। তবে ওয়েইসি-র বঙ্গে আগমন বা আব্বাস সিদ্দিকিকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়াই বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, আখেরে বিজেপি-র বি টিম হিসেবে কাজ করছে মিম। তারা ভোট কেটে সাহায্য করে দেয় বিজেপিকে। যার পাল্টা দিয়েছিলেন ওয়েইসিও।


পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ২০১১ থেকে এই ভোটব্যাঙ্ক কার্যত পুরোটাই তৃণমূলের দিকে ছিল। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকে সেই ছবি কিছুটা বদলেছে। ১৮টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা আসনের ৪টি তৃণমূলের থেকে বিজেপির হাতে গিয়েছে। যেগুলি হল বালুরঘাট, কোচবিহার, বনগাঁ ও রানাঘাট।



এবার বিধানসভা ভোটে কী হবে? সেটাই দেখার।