কলকাতা: ইডির সমনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লাকাণ্ডে আগেও অভিষেক-রুজিরাকে সমন পাঠায় ইডি। ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ দেখিয়ে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। ইডির আধিকারিকদের কাছে কলকাতায় জিজ্ঞাবাদের আবেদন করেন রুজিরা। তারপরই ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লির সদর দফতরে অভিষেককে ফের তলব করে ইডি।


কয়লাকাণ্ডের তদন্তের প্রেক্ষিতে ইডি-কে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পরিবর্তে কলকাতার বাড়িতে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক বলে ইডির কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন রুজিরা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বলেছিলেন, ‘বাড়িতে ২টি সন্তান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’


চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘১৮ অগাস্ট নোটিস পাঠিয়ে আমাকে ১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। ইডি-র কলকাতায় অফিস রয়েছে, আমিও কলকাতায় থাকি। তাই আপনারা কলকাতায় আমার বাড়িতে এলে তা সুবিধাজনক হবে।’ রুজিরা আরও লেখেন, ‘যতদূর জানি, যে মামলায় তদন্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে, তারও সূত্রপাত পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। এই অনুরোধ বিবেচনা করে দ্রুত জানান। আমি সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’


৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার দুদিন পরে, ৮ সেপ্টেম্বর ফের অভিষেককে ডেকে পাঠায় ইডি। যদিও অভিষেক বলেন, এত কম সময়ে সমস্ত নথি ও তথ্য নিয়ে তাঁর পক্ষে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তারপর ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের সমন পাঠিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজির হতে বলা হয়।


অভিষেক, রুজিরা ও তাঁদের আইনজীবীরা মনে করছেন, এই মামলা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সেই জন্যই এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।