সঞ্চয়ন মিত্র, ঋত্ত্বিক প্রধান, কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর এই প্রথম কাঁথিতে গেলেন অভিষেক। এবং বেনজিরভাবে আক্রমণ করলেন শুভেন্দুকে। টেনে আনলেন শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গও। তাঁকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিরোধীরা যেভাবে বারবার তাঁর স্ত্রীর সোনা নিয়ে ধরা পড়ার প্রসঙ্গ টেনে আনে, কড়া ভাষায় তারও জবাব দিলেন অভিষেক।


দুপুর ২টো নাগাদ দইসাইয়ে জনসভা করলেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে অভিষেক বলেন, ‘এখন আবার আমার সঙ্গে না লড়াই করে আমার বৌকে টার্গেট করেছে। কী বলছে? বলছে আমার বৌয়ের নাকি এখানে অ্যাকাউন্ট আছে ওখানে অ্যাকাউন্ট আছে। ভাই আমার বৌয়ের কলকাতা ছাড়া আর কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই। আরে আমি তো সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যান সামনে রেখে দিয়েছি। কী বলছে? আমার বৌ নাকি দু’বছর আগে সোনা নিয়ে এয়ারপোর্টে ধরা পড়েছিল। তোর সিআইএসএফ আর সিবিআই কি নাকে নস্যি দিয়ে ঘুমোচ্ছিল যখন ধরা পড়েছিল! এয়ারপোর্টে তো পাঁচশো সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, যদি সোনা নিয়ে ধরা পড়ে থাকে তাহলে সিসিটিভি  ফুটেজ পাবলিশ করছো না কেন! কেন প্রকাশ্যে আনছো না। আমি তো তার পরের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলাম।’

বিজেপির ‘তোলাবাজ ভাইপো’ আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বলেছেন, ‘ওই বীরেন্দ্রনাথ শাসমল যেমন বলেছিল না, দাঁড় করিয়ে পুড়িও, আমার তোলাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে আমিও বলব দাঁড় করিয়ে আমাকে ফাঁসির মঞ্চে তুলো, আমি মৃত্যুবরণ করব।’

বাংলায় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। দীর্ঘ ৬ বছর পর আজ কাঁথিতে গিয়ে বিজেপির ‘ভাইপো’ কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর পাল্টা আক্রমণ, ‘কথায় কথায় কী বলছে, ঘুমাচ্ছে ভাইপো, উঠছে ভাইপো, সকালে হাঁটছে ভাইপো, খাচ্ছে ভাইপো। আতঙ্ক হয়ে গিয়েছে। ১৫ মিনিট বক্তব্য রাখলে ১০ মিনিট খালি ভাইপো, ভাইপো, ভাইপো, ভাইপো করছে। এত ভয়।'