সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন্নগর: হুগলির কোন্নগরে সৌমিত্র খাঁ-র বাইক র‍্যালি ঘিরে উত্তেজনা। অনুমতি না থাকায়, বাইক র‍্যালি আটকানোয় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ বিজেপি সাংসদের।


বিজেপির বাইক র‍্যালি নিয়ে আজ সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিক্ষোভ চলাকালীন উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

আজ কোন্নগর জোড়াপুকুর ঘাট থেকে জিটি রোড ধরে চাঁপদানি পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার বাইক র‍্যালি করার কথা ছিল সৌমিত্রর। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধের কারণ দেখিয়ে বাইক র‍্যালির অনুমতি দেয়নি চন্দননগর কমিশনারেট। পরে ওই রুটে পদযাত্রা শুরু হয়।

অন্যদিকে, বিজেপির কর্মসূচির আগে কোন্নগর এলাকায় কালো পতাকা, বিজেপি নেতাদের ছবিতে লেপা হয় কালি। সৌমিত্র খাঁ-কে কটাক্ষ করে এলাকায় লাগানো হয় পোস্টার। বিজেপির অভিযোগ, এর পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, নব্যর সঙ্গে আদি বিজেপি কর্মীদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন সৌমিত্র। ২৮ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বেড়গ্রামে জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শুধু সাইকেল দিয়েছে। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে স্কুটি দেবে। প্রত্যেক বাড়িতে চাকরি অথবা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।’

এর আগে সৌমিত্র দাবি করেন, ‘দিলীপ ঘোষই হবেন বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, দিলীপ ঘোষ একজন প্রকৃত নেতা। তিনি কখনও সংসারধর্ম করেননি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তিনিই একদিন রাজ্য সামলাবেন।’

দিলীপ অবশ্য সৌমিত্রর মন্তব্যে যেমন সিলমোহর দেননি, তেমনই খারিজও করেননি। তিনি বলেন, ‘উনি তো দলের সদস্য, আমি দলের সভাপতি। উনি নিজের কথা বলতেই পারেন। কী হবে তা ভবিষ্যত দেখা যাবে।’ পরে এই মন্তব্যের জন্য সৌমিত্রকে সতর্ক করে দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।