বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে ছিল তৃণমূলের হাইভোল্টেজ সভা। হাজির ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তার কয়েক ঘণ্টা আগে, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে শাসক-নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় পড়ল পোস্টার! ফের কাটমানি অভিযোগে বিদ্ধ হল তৃণমূল। কাঠগড়ায় মহিষাদল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী। চাকরির বিনিময়ে কাটমানি থেকে শুরু করে স্বজনপোষণ...একাধিক অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।


পোস্টারের নীচে মহিষাদল নাগরিক মঞ্চ ও বুদ্ধিজীবী মহলের নাম। অভিযুক্ত নেতার দাবি, পুরোটাই বিজেপির ষড়যন্ত্র। মহিষাদলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তিলক চক্রবর্তী জানান," আমাকে এবং তৃণমুল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করতে ভোটের আগে এই চক্রান্ত করেছে বিজেপি। এসব করে কিছু হবে না। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। ভোটে তারা ঠিক জবাব দিয়ে দেবে।"


অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই পোস্টার দেওয়ার পিছনে বিজেপির কোনও হাত নেই। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল ।"


মহিষাদল বিধানসভা কেন্দ্রটি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই, তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু, লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, মহিষাদলে তৃণমূলের থেকে প্রায় ১৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ইতিমধ্যেই, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর, পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মানচিত্রে বিস্তর রংবদল হয়েছে। এখন দেখার, বিধানসভা ভোটে সেই সমীকরণ কতটা বদলায়।