আশাবুল হোসেন, কলকাতা: বিজেপির বিরুদ্ধে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করতে হবে। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে নির্বাচনী প্রচারে। প্রত্যেক নেতাকে দলের জন্য পুরো সময় দিতে হবে। আজ, শুক্রবার কালীঘাটে দলের সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের তৎপরতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।


রবিবার অমিত শাহের সভায় তৃণমূলের একঝাঁক সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক-মন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। এই প্রেক্ষাপটেই শুক্রবার দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সূত্রের খবর, কালীঘাটে দলের বাছাই করা সাংসদ, বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী নির্দেশ দেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই ঝাঁপাতে হবে নির্বাচনী প্রচারে।


বিজেপির বিরুদ্ধে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়তে হবে। পয়লা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যেক নেতাকে দলের জন্য পুরো সময় দিতে হবে। দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো দলের নেতারা মাঠে নামবেন।


বিজেপির মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে জোরদার প্রচার করতে হবে। বিজেপি যেখানেই মিছিল-মিটিং করবে, সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি নিতে হবে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিতে হবে বিজেপিকে, নেগেটিভ প্রচারের বিরুদ্ধে প্রচার করতে হবে ৷’’


এদিনের বৈঠকে দলীয় সাংসদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রী বলেন, অধিকাংশ সাংসদকেই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামতে হবে। বৈঠক শেষে তৃণমূলের মুখপাত্র সৌগত রায় বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি থেকে দলের নেতাদের পুরোদমে প্রচারে ঝাঁপাতে বলেছেন মমতা।’


সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকেই নির্বাচনের জন্য পুরোদমে কাজ শুরু করে দেবে তৃণমূল৷ নেতাদের আরও বেশি করে দলের প্রচারে সময় দিতে হবে, পৌঁছতে হবে মানুষের কাছে৷ সাংসদদেরও দিল্লিতে পড়ে না থেকে নিজেদের এলাকায় বেশি করে সময় দিতে বলা হয়েছে৷ কোন নেতা প্রচারে কতটা সময় দেবেন, তার জন্য দলের তরফেই সূচি বা রোস্টার তৈরি করে দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারও বেশি করে মানুষের সামনে তুলে ধরতে বলা হয়েছে৷


এদিকে ৮ বছর পর এদিন তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ। এরইমধ্যে সোমবার ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ তারিখ ফালাকাটায় প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।


৩ ফেব্রুয়ারি, আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ১৫ ফেব্রুয়ারির পরই সম্ভবত নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতে চলেছে। তার আগেই নির্বাচনী ময়দানের মাটি তৈরি করে রাখতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল।