অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ইঙ্গিত, আসছে তৃতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাতে আক্রান্ত হবে শিশুরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় সেখানে তৈরি হল ১২ শয্যার পিকু ও নিকু।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্ব। এবার আতঙ্ক তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। কারণ, পরবর্তী এই ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। দ্বিতীয় থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর।


মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবস্থা হল বিশেষ ইউনিটের। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় তৈরি হয়েছে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা PICU  ও নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা NICU। প্রস্তুত ১২টি শয্যা। মোট ১০০টি শয্যার ভাবনা  রয়েছে বলে সূত্রের খবর।


মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, সদ্যোজাত শিশু থেকে ১২ বছর পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত শিশুদের কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই দুটি ইউনিটকে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পঞ্চানন কুণ্ডু জানিয়েছেন, PICU এবং NICU মিলিয়ে ১২ টি শয্যা রাখা হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।


জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সুন্দর সারেঙ্গি বলেন, ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বেশ কিছু করো না আক্রান্ত শিশুর হদিস মিলেছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই তৈরি থাকছে স্বাস্থ্য দফতর। পিকু নিকু মিলিয়ে ১০০টি শয্যার ভাবনা আছে। ইতিমধ্যে ১২টি প্রস্তুত করা হয়েছে।


জানা গিয়েছে, শিশুদের পাশাপাশি সাধারণ কোভিড রোগীদের জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের জন্য তৈরি হবে বাড়তি ৩০টি শয্যা,  তাতে থাকবে অক্সিজেন সংযোগ।এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৮৬টি বেড, এইচডিইউ-তে রয়েছে ২৬টি বেড, গর্ভবতী মায়েদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১০টি বেড, আর সাধারণ কোভিড রোগীদের জন্য ৬০টি বেড। আগাম প্রস্তুতি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ফলপ্রসূ হবে বলেই আশা স্বাস্থ্য দফতরের।