নয়াদিল্লি: হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থেকে এখনও বঞ্চিতই বাংলা। বরং শীত বিদায় নিলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে আবহওয়া দফতর। কিন্তু উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একেবারে উল্টো পরিস্থিতি। কনকনে ঠান্ডার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপে জবুথবু একাধিক রাজ্য। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। (Delhi Temperature Today)


দিল্লির একাধিক এলাকা, মধ্যপ্রদেশের পশ্চিম অংশ, হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, রাজস্থান এবং পঞ্জাবের একাধিক এলাকা শনিবার সকালে কার্যতই জবুথবু। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। ঠান্ডার পাশাপাশি কুয়াশার প্রকোপ রয়েছে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে, অসম এবং মেঘালয়েও। বিহারেও সকাল থেকে কুয়াশার প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। (North India Weather)


শনিবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি বেশি। সফদরজং এবং রাজধানীর উপকণ্ঠে ভোর ৫.৩০ নাগাদ দৃশ্যমানতা ছিল ৫০০ মিটার। রাজধানীতে সকাল ৮.৩০ নাগাদ আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার জেরে একাধিক জায়গায় ট্রেন চলাচল থমকে যায়। দিল্লিগামী ১৪টি ট্রেনের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয় আজ।


আরও পড়ুন: Aditya-L1: সূর্যের উপর নজরদারিতে বাধা হবে না গ্রহণও, আর কয়েক ঘণ্টা বাকি, আজই গন্তব্যে পৌঁছবে Aditya-L1



এদিন দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক ৩১৫-তে রয়েছে, যা অত্যন্ত খারাপ বলে বিবেচিত হয়। বাতাসের গুণমানের সবচক ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে, তাকে ভাল বলে ধরা হয়, ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে হলে সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে হলে খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে হলে অত্যন্ত খারাপ বলে ধরা হয়। ৪০১-এর উপর বাতাসের গুণমানের সূচক থাকলে, তাকে গুরুতর বলে ধরা হয়। তাই দিল্লিতে বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে শিশু এবং প্রবীণদের বিশেষ করে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।


মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কম। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। তবে ঘন কুয়াশার জেরে সূর্যের আলো ফুটে পারেনি বেশ বেলা পর্যন্ত। কুয়াশার প্রকোপ নিয়ে ৬ এবং ৭ জানুয়ারি রাজধানীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।