কলকাতা: উৎসবের মরসুম শেষের পরেও বাজারে আলু-পেঁয়াজের চড়া দাম। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৮-৫০ টাকায়। ৪৫ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে জ্যোতি আলু। পেঁয়াজের দাম এখনও ৭০ টাকা। কোথাও কোথাও ৮০ টাকা দরে বিকোচ্ছে বাছাই করা পেঁয়াজ। ফলে আলু-পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের।

করোনা আবহ বদলে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন। কারো কোপ পড়েছে রোজগারে! কেউ হারিয়েছেন চাকরি। এই প্রেক্ষিতে মধ্যবিত্তর আলু সেদ্ধ ভাতই এখন কষ্টকল্পনা! তার উপর অগ্নিমূল্য আলু-পেঁয়াজ!

শীতে রকমারি সবজি খাওয়া তো দূর অস্ত, জ্যোতি থেকে চন্দ্রমুখী, সব আলুরই আগুন-দাম। প্রতি সপ্তাহে নিজের গড়া রেকর্ড নিজেই ভাঙছে ভাতের পাতের এই অপরিহার্য সদস্য!

বুধবার সকালে কলকাতার একাধিক বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ৪৫ টাকা কেজি। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ঘোরাফেরা করছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

শুধু আলু নয়, পেঁয়াজের দামও চোখে জল আনার পক্ষে যথেষ্ট। গত সপ্তাহে পোস্তা বাজারে একবস্তা পেঁয়াজের দাম ছিল ১৮০০- ২০০০ টাকা। মঙ্গলবার একবস্তা পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা। লাগাম ছাড়া আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, 'নতুন আইনে কালোবাজারি বেড়ে গেছে, সব লুটে নিয়ে চলে যাচ্ছে, রাজ্যের হাতে কিছু নেই।'

পাল্টা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আগে কি ১০ টাকায় আলু পাওয়া য়েত? প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের।

তরজা চলবে তরজার মতো।  কিন্তু, আলু-পেঁয়াজের বাজারদর এভাবে বাড়লে সংসার চলবে কী করে? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছেই।