কাবুল: এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বার ভূমিকম্প। ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রবিবার ভূমিকম্প অনুভূত হল সেখানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। এবারও কম্পনের উৎসস্থল হেরাট শহর সংলগ্ন এলাকা। ভূগর্ভের ৬.৩ কিলোমিটার গভীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে কম্পন। এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। কিন্তু কম্পনের তীব্রতার নিরিখে আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। (Afghanistan Earthquake)


হেরাট প্রদেশ থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরের এলাকা কম্পনের উৎসস্থল


আমেরিকার জিওলজিকাল সার্ভে জানিয়েছে, হেরাট প্রদেশ থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরের এলাকা কম্পনের উৎসস্থল। এর আগে, ৭ অক্টোবর পর পর যে ভূমিকম্প এবং আফটার শক অনুভূত হয়েছিল, তাতে হেরাট প্রদেশের বিস্তীর্ণ পার্বত্য অঞ্চল কার্যত সমতলে পরিণত হয়ে যায়। এত তীব্রতা আগে কখনও অনুভূত হয়নি। তার পরই আবারও একবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের মাটি। (Earthquake in Afghanistan)




এক সপ্তাহ আগের ভূমিকম্পে ২০০০-এর বেশি মানুষ মারা যান। সেবার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জেন্দা জান জেলা। শুধু ওই জেলাতেই ১২৯৪ জন মারা যান। আহত হন বহু মানুষ। ঘরবাড়ি সব ধূলিসাৎ হয়ে যায়। রাষ্ট্রপুঞ্জ সেই সময় জানায়, ভূমিকম্পে যত জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই মহিলা এবং শিশু।


আরও পড়ুন: Israel Palestine War: প্রকাশ্যে শত্রুতা, আড়ালে সমর্থন হামাসকে, নেতানইয়াহুই কি যুদ্ধ ডেকে আনলেন? প্রশ্ন ইজরায়েলেই


আগের বার পর পর দু'টি শক্তিশালী ভূমিকম্প আছড়ে পড়ে ভূমিকম্প। কম্পনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, পাহাড়ি গ্রাম একধাক্কায় বসে গিয়ে সমতলে পরিণত হয়। শয়ে শয়ে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দফতর, কিছুই রক্ষা পায়নি। 


ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত আফগানিস্তান। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল এলাকায় প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। ইউরেশিয়ান এবং টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলেই এমনটা ঘটে। এদিনের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাট শহরের ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। 


ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত আফগানিস্তান


এই হেরাট শহরটি ইরান সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।  আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত হেরাট। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক জানায়, ১৯ লক্ষ মানুষের বসবাস সেখানে। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে, গত বছর জুনেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.৯। তাতেও ১০০০-এর বেশি মানুষ মারা যান।