মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বিদেশে পড়তে গিয়ে বঙ্গ তনয়ার রহস্যমৃত্যু (Durgapur Student Mysterious Death)। সুইডেনে (Bengal Student Death In Sweden) গবেষণা করতে গিয়ে দুর্গাপুরের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে হইচই। সূত্রের খবর, জুলজি অনার্সের পর বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর করছিলেন দুর্গাপুরের রোশনি দাস। সুইডেনের উমেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরো সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছিলেন রোশনি। মৃতের মা জানিয়েছেন, ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ কথা। ১২ অক্টোবর মৃত্যুর খবর দেয় সুইডেনের দূতাবাস। গত ১৩ অক্টোবর লালবাজার থেকে খবর পান মা। মৃতার মা, মমতা দাসের আরও বললেন, 'রোশনির দেহ ফ্ল্যাটের মধ্যে মিলেছে।' এক সুইডিশ নাগরিককে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কী ভাবে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পরিবার।


কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, আদতে দুর্গাপুরের ডিপিএল টাউনশিপে থাকতেন রোশনি দাস। তবে নিউরো সায়েন্স নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৮ থেকে সুইডেনে ছিলেন। বাবা মারা গিয়েছেন ২০১৯ সালে। ফলে দুর্গাপুরের বাড়িতে একাই থাকতেন রোশনীর মা। তাঁর দাবি, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মেয়ের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল। এরপর, গত ১২ অক্টোবর সুইডেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে বছর বত্রিশের ওই গবেষকের দেহ মিলেছে। ঘটনায় সুইডেনের এক নাগরিককে গ্রেফতার করেছে সে দেশের প্রশাসন। কিন্তু বিদেশে গবেষারত মেয়ের কী ভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রোশনীর মা। 


মায়ের অভিযোগ...
মমতা দাস জানালেন, ২০১৮ সালে ইন্টিগ্রেটেড মেডিক্যাল বায়োলজি নিয়ে সুইডেনে গবেষণা করতে গিয়েছিলেন রোশনী। কিন্তু গবেষণা শেষ করতে পারেননি। স্কলারশিপ নিয়ে গবেষণা করতে গেলেও সময়ের মধ্যে তা শেষ করতে পারেননি রোশনী। ফলে বাড়িতে মাকে মাঝেমধ্যেই টুকটাক টাকা পাঠাতে বলতেন, জানালেন মমতা। 'আমি সামান্য কিছু হয়তো মাঝেমধ্যে হয়তো পাঠাতাম', আরও সংযোজন তাঁর। গত ১৩ অক্টোবর মায়ের কাছে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পৌঁছয়। এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তাঁর সনির্বন্ধ আর্জি, রোশনীর দেহ যাতে সুইডেন থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। মেয়ের এমন পরিণতির নেপথ্য়ে যাদের হাত রয়েছে, তাদের জন্য যেন উপযুক্ত শাস্তিরও ব্যবস্থা করা হয়, চান সদ্য সন্তানহারা মা। 


আরও পড়ুন:রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী 'ঘনিষ্ঠ' ব্যবসায়ী বাকিবুরের হোটেলের হদিশ