Pralay Missile Successful Testing:   ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা অর্থাৎ ডিআরডিও মঙ্গলবার ওড়িশায় দুই দিন ধরে ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রের ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ মারণক্ষমতা এবং রেঞ্জ বা পাল্লা ক্ষমতা উভয়ই সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এই সমস্ত পরীক্ষাগুলিকে বলা হয় ইউজার ইভ্যালুয়েশন ট্রায়াল। ডিআরডিওর এক কর্মকর্তা (Pralay Missile) জানিয়েছেন যে সোমবার ও মঙ্গলবার ওড়িশার উপকূলে অবস্থিত ড. এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়েছিল। প্রলয় একটি দেশীয় পদ্ধতিতে নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র যাতে সলিড প্রোপেল্যান্ট ব্যবহার করা হয়। উন্নত গাইডেন্স ও নেভিগেশন প্রযুক্তি রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রে।

Continues below advertisement

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে ক্ষেপণাস্ত্রটি তার নির্ধারিত ফ্লাইট পাথ নির্ভুলভাবে অনুসরণ করেছে, আর সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ফলে ডিআরডিওর সমস্ত পরীক্ষা সফল হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের (Pralay Missile) সমস্ত অংশ সঠিকভাবে কাজ করেছে, প্রত্যাশাপূরণ করেছে। ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ দ্বারা স্থাপিত বিভিন্ন ট্র্যাকিং সেন্সরের সাহায্যে সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমপ্যাক্ট পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থিত একটি জাহাজেও এই সেন্সর স্থাপন করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজে প্রথম এই ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করা হয়। ‘প্রলয়’কে নিয়ে একটি ট্যাবলো নামানো হয়েছিল সেদিন যার নাম ছিল ‘রক্ষাকবচ’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটির (Pralay Missile) পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। রকেট মোটর দ্বারা চালিত হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর দৈর্ঘ্য ৯.০৬ মিটার, ব্যাস ৭৪০ মিলিমিটার, ওজন ৫.১ টন। ৫০০ থেকে ১০০০ কেজি ওজনের পেলোড বহন করতে পারে। তবে এটি মোটামুটি ৪০০ কিমি দূর পর্যন্ত ৫০০ কেজির ওয়ারহেড নিক্ষেপ করতে পারে নির্ভুলভাবে। ১০০০ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।