ঢাকা: প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ‘প্রকৃত বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে তাঁর ‘অসামান্য, ভোলা যায় না’, এমন অবদান স্মরণ করল বাংলাদেশ। বুধবার প্রতিবেশী দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। জাতীয় শোক পালন করে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সামরিক, স্বশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। একাধিক শারীরিক প্রতিকূলতার সঙ্গে ২১ দিনের লড়াই শেষে গত সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি। গতকাল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য পালিত হয় তাঁর। গতকাল বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করে, তারা দেশের ‘প্রকৃত বন্ধু’র মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে। প্রণববাবুর স্মরণে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করতে বাংলাদেশ সরকার আবেদন করে বিভিন্ন ধর্মস্থানের কর্তৃপক্ষকেও।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানান, একজন নামী পন্ডিত মানুষ, ভারতের বিদগ্ধ ব্যক্তি, দক্ষিণ এশিয়ার বড় মাপের নেতা হিসাবে প্রণববাবু সবার শ্রদ্ধা, সম্মান পেতেন।
হাসিনা বলেছেন, ‘ভারতরত্ন’ প্রণববাবুর ভারতবাসীর কল্যাণে নিরলস কাজ শুধুমাত্র ভারত নয়, গোটা অঞ্চলের আগামী প্রজন্মের নেতাদের উদ্বুদ্ধ করবে। হাসিনা প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে সত্যিকারের বন্ধু বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষও তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করায় তাঁর সমর্থন, অবদান স্মরণ করেন হাসিনা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁর মূল্যবান অবদানের জন্য প্রণববাবুকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মান’ খেতাব অর্পণ করে। তাঁকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু, তাঁর পরিবারের কাছেও ‘অভিভাবকসম ব্যক্তিত্ব’ বলে উল্লেখ করেন হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইশানুল করিমকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা বিএসএস বলেছে, মুখার্জির মৃত্যুর খবর তাঁকে গভীর বেদনাহত করেছে, তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন, অনেক পুরানো স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে তাঁর।