পটনা: দুঁদে রাজনীতিক, চেনা মুখ বা কোনও বিতর্কিত চরিত্র নয়। বরং গণিতজ্ঞ, প্রাক্তন আমলা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক, চিকিৎসকদের গুরুত্ব। বিহার বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে এভাবেই চমক দিলেন একদা ভোটকুশলী, তথা অধুনা রাজনীতিক প্রশান্ত কিশোর। তাঁর রাজনৈতিক দল ‘জন সুরজ’ যে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে, এই মুহূর্তে তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। (Bihar Assembly Elections 2025)
অন্যের হয়ে জমি তৈরির কাজ নয়, এবার নিজে রাজনীতির ময়দানে প্রশান্ত। বিহারের রাজনীতিতে যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি, প্রথম প্রার্থিতালিকা তার ইঙ্গিত মিলছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ যে তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জন সুরজ’, সেই ৫১ জনের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজনেরা। (Prashant Kishor)
আগামী মাসে দুই দফায় নির্বাচন বিহারে। প্রশান্তর দল যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে ১৬ শতাংশ মুসলিম প্রার্থী এবং ১৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণির। এঁদের কারও ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। অপরাধ মামলা বা বিতর্কের কোনও রেকর্ডও নেই তাঁদের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ নেই, এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
‘জন সুরজ’-এর প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ কেসি সিনহা। কুমহরারে তাঁকে প্রার্থী করেছে প্রশান্তর দল। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন কেসি সিনহা। বহু দশক ধরে তাঁর লেখা বই বিহার-সহ একাধিক রাজ্যের স্কুলের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হয়েছে।
মাঞ্ঝি থেকে ওয়াইবি গিরিকে প্রার্থী করেছে প্রশান্তর দল। পটনা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন গিরি। একাধিক হাই-প্রোফাইল মামলা লড়েছেন তিনি। বিহারের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং ভারত সরকারের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মুজফ্ফরপুর আসনে চিকিৎসক অমিতকুমার দাসকে প্রার্থী করেছে প্রশান্তর দল। তিনি পটনা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন তিনি। গ্রামীণ স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে মিলে মুজফ্ফরপুরে একটি হাসপাতালও চালান তাঁরা।
‘জন সুরজ’-এর প্রথম প্রার্থিতালিকায় যদিও প্রশান্তর নাম নেই। তিনি কোথায় প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখা হয়েছে। প্রশান্ত নিজে জানিয়েছেন, তিনি রঘোপুর থেকে লড়তে আগ্রহী। তবে রিতেশ রঞ্জন পান্ডেকে করগহরে প্রার্থী করা হয়েছে। ফলে রঘোপুরে প্রশান্তর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে। এই রঘোপুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের গড় হিসেবে পরিচিত। ফলে সেখানে হাই ভোল্টেজ লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।