কলকাতা: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে বড়সড় দাবি করলেন 'জন সুরজ' (Jan Suraj)-এর প্রধান প্রশান্ত কিশোর। শনিবার একটি জনসভায় প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন তাঁর দল নির্বাচন জিতলে রাজ্য থেকে দ্রুত তুলে নেওয়া হবে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা।


ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য় আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই, গত ২ বছর ধরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি...যদি জন সুরজ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে ১ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব।' বিহারে মদে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই সময় নীতিশ কুমারের সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।


এখন বিহারে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে রাজ্যে যাত্রা কর্মসূচি চলছে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েও কটাক্ষের সুর প্রশান্ত কিশোরের গলায়। তিনি বলেন, 'অন্তত তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসেছেন।' সম্প্রতি আরজেডি এবং নীতিশ কুমারের মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডা চলছে। এর আগে তেজস্বী যাদব দাবি করেছিলেন বিজেপির জোটে যোগ দেওয়ার জন্য জোড়হাতে ক্ষমা চেয়েছিলেন নীতিশকুমার। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তেজস্বী ও নীতিশ দুজনকেই আক্রমণ শানিয়েছেন প্রশান্ত কুমার। তাঁর দাবি, 'কে কার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ২ জনেই বিহারের ক্ষতি করেছেন। বিহারের লোকজন ৩০ বছর ধরে দেখছেন। আমরা ২জনকেই বিহার থেকে যেতে বলছি।'


এর আগেও তেজস্বী যাদবকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তেজস্বীর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গ তুলে তাঁর পক্ষে বিহারের উন্নতি করা সম্ভব হবে কি না সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। ANI প্রতিবেদন অনুসারে, প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, 'কেউ যদি সুযোগ না পেয়ে পড়াশোনা না করতে পারেন সেটা বোঝা যায়। কিন্তু বাবা-মা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি দশম শ্রেণিও পাশ করতে না পারেন সেটা আদতে পড়াশোনার প্রতি তাঁর ভূমিকা বোঝায়।' তেজস্বী যাদবের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'একজন নবম শ্রেণী ড্রপ আউট বিহারের উন্নতির পথ দেখাচ্ছেন। জিডিপি ও জিডিপি গ্রোথের মধ্যে পার্থক্য জানেন না, তবুও দাবি করেন বিহারের উন্নতি কীভাবে হবে তা তিনি জানেন।'



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের কথা শুনুন', বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সিনিয়র চিকিৎসকরাও