পটনা : জন সূরযের তহবিলের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এক বিজেপি নেতা। তার জবাব দিলেন প্রশান্ত কিশোর। পার্টির অর্থ-তবিল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করে জানালেন, এনিয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় আছে। প্রশান্ত কিশোর বলেন, "জন সূরযের তহবিল একেবারে স্বচ্ছ। আমি কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করেছি এবং যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের কাছে টাকা নিয়েছি। আমি তিন বছরে ২৪১ কোটি টাকা রোজগার করেছি। জিএসটি হিসাবে ৩১ কোটি টাকা দিয়েছি এবং আয়কর দিয়েছি ২০ কোটি টাকা। চেক পেমেন্টের মাধ্যমে ৯৮ কোটি টাকা জন সূরযকে দিয়েছি। দলের অ্যাকাউন্টে সব পেমেন্ট করা হয়েছে চেকের মাধ্যমে। কোনও অন্যায় হয়নি।"

Continues below advertisement

আসন্ন বিহার নির্বাচনে নামতে চলেছে জনসূরয। রাজ্যজুড়ে একটি যাত্রা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশান্ত জানিয়েছেন, তিনি নিজের রাজ্য বিহারের সংস্কারের মিশনে নেমেছেন। তিনি বলেন, "টাকা রোজগার করার জন্য বিহারে আসিনি। আমার যা টাকা আছে তা সরকারের নজরে আছে। আমি ১০ বছর বিহারে থাকব, যতক্ষণ না এই সিস্টেম পাল্টাচ্ছে।"

বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়াল জন সূরযের তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এবং নির্বাচনী কৌশলবিদকে শেল কোম্পানির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহের অভিযোগ করার পর কিশোরের এই মন্তব্য এসেছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জয়সওয়াল বলেছিলেন, "লোকসানে চলা কোম্পানিগুলো কেন কেবল প্রশান্ত কিশোরকেই কোটি কোটি টাকা দেয়? ঠিক যেমন কংগ্রেস শাসনামলে (কেন্দ্রে) প্রতিটি গ্রামবাসী 'কেলেঙ্কারি' শব্দটি জানত, ঠিক তেমনি, প্রশান্ত কিশোরের মাধ্যমে অর্থ পাচার কী তা সকলেই জানবে।"

Continues below advertisement

গত জুলাই মাসে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আহত হন ভোটকুশলী তথা ‘জন সূরয পার্টি’র প্রধান প্রশান্ত কিশোর। পথসভা চলাকালীন একটি গাড়ি সটান ধাক্কা মারে তাঁকে। তাতেই গুরুতর আহত হন প্রশান্ত। তাঁর পাঁজরে চোট লাগে। গাড়ি ধাক্কা মারার পরই যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠেন প্রশান্ত। সঙ্গ সঙ্গে মঞ্চের একদিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য পটনা নিয়ে যাওয়া হয়। (Prashant Kishor)

বিহারের আরায় 'বদলাভ সভা' (পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সভা) করছিলেন প্রশান্ত। ওই সভার পাশাপাশি পথসভাও করেন তিনি। ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলেও তিনি হেঁটে এগিয়ে যান, সকলের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন। প্রশান্ত যখন হেঁটে যাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠেন তিনি। দলের নেতা-কর্মীরা কোনও রকমে তাঁকে ধরে মঞ্চে নিয়ে গিয়ে বসান। সেখানে বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে জানান প্রশান্ত। এর পরই প্রশান্তকে নিয়ে পটনা রওনা দেয় একটি গাড়ি। গাড়িতে একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে।