নয়া দিল্লি: পুলিশ, সংবাদমাধ্যমের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি আতিকের মাথা লক্ষ্য করে। সুরক্ষা কর্মীদের সামনেই লুটিয়ে পড়েছিল দেহ। তদন্তে দেখা গেছে ৯টি গুলিতে একেবারে ঝাঁঝরা হয়েছে দেহ। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, রবিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ এবং ভাই আশরাফের দেহ কবর দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে।
রবিবার সন্ধ্যেয় ময়নাতদন্তের পর আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া। কবরস্থানের দিকে যাওয়ার প্রতিটি গলিতে পুলিশ, RAF এবং CRPF জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল। গোটা কবরস্থান আলোকিত করার জন্য কবরস্থানের চারপাশে বেশ কয়েকটি আলো স্থাপন করা হয়েছে। আতিক ও আশরাফের জন্য রবিবার দুটি কবর খোঁড়া হয়। কবর খননকারী জানু খান বলেন, "এতে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগবে। কবরগুলি প্রায় ৭ ফুট গভীর করে খোড়া। সূর্য জ্বলছে তাই এটি আরও পরিশ্রম করছে," কবর খননকারী জানু খান বলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই কবরস্থানটি আতিকের পৈতৃক শহরেই অবস্থিত। আতিক আহমেদের বাবা-মাকেও সেখানে সমাহিত করা হয়েছে।
যোগীরাজ্যে পুলিশের সামনেই ফিল্মি কায়দায় গ্য়াংস্টার খুন। উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সমপূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত। টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য় ওআইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? পাল্টা টুইট শুভেনদু অধিকারীর। খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৩। ১৭ জন পুলিশকর্মী সাসপেন্ড। প্রয়াগরাজে ১৪৪ ধারা জারি।
আরও পড়ুন, আতিক-আশরফ খুনের পর প্রয়াগরাজে জারি ১৪৪ ধারা, ১৭ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল যোগী-প্রশাসন
সমাজবাদী পার্টির ৫ বারের বিধায়ক ছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদও হন। মাফিয়া থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা আতিক ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজু খুনের সাক্ষী উমেশ পালের খুনেও নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ছেলে আসাদের।আতিকের বিরুদ্ধে একশোটিরও বেশি মামলা ছিল। উমেশ খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার আতিকের ছেলে আসাদের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা। ২ দিন আগে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আসাদের। গতকাল প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়, পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা আতিক আহমেদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জে থেকে গুলি করে খুন করা হয়। গুলিতে মৃত্য়ু হয় আতিকের ভাই আসরফেরও।