উত্তরপ্রদেশ: এনকাউন্টারে ছেলে আসাদের পর, এবার পুলিশের সামনে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়, গুলি করে খুন করা হল উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আসরফকে। 


এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সাসপেন্ড করা হয়েছে ধৃত আতিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৭ জন পুলিশ কর্মীকে। গ্যাংস্টার খুনের পর, গোটা উত্তরপ্রদেশজুড়েই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। 


সমাজবাদী পার্টির ৫ বারের বিধায়ক ছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদও হন। মাফিয়া থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা আতিক ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। 


চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজু খুনের সাক্ষী উমেশ পালের খুনেও নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ছেলে আসাদের।আতিকের বিরুদ্ধে একশোটিরও বেশি মামলা ছিল। উমেশ খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার আতিকের ছেলে আসাদের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা। ২ দিন আগে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আসাদের। 


গতকাল প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়, পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা আতিক আহমেদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জে থেকে গুলি করে খুন করা হয়। গুলিতে মৃত্য়ু হয় আতিকের ভাই আসরফেরও। 


পুলিশের দাবি, প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল করাতে আনার সময় আতিক আহমেদের উপর হামলা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই আতিককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের।


আরও পড়ুন, আতিক শ্যুটআউটে যোগীর পুলিশকে নিশানা! CBI তদন্ত দাবি বাবুল সুপ্রিয়র


বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ। রাজু খুনের সাক্ষী উমেশ পাল খুনেও নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ছেলে আসাদের। উমেশ খুনে অভিযুক্ত আসাদের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা।


আতিকের আইনজীবী বিজয় মিশ্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জনতার মধ্যে থেকে কেউ একজন এসে আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইকে গুলি করে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। তাঁদের যখন গুলি করে খুন করা হয়, সেই সময় পাশেই ছিলেন তিনি। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। 


ঘটনার ভিজুয়ালে দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাঁটছেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই। সেই সময় কেউ একজন গ্যাংস্টারের মাথায় গুলি করে। পরের মুহূর্তেই তাঁর ভাইকেও গুলি করে খুন করা হয়।