নয়াদিল্লি: দেখা যাচ্ছে, লাদাখের রক্তাক্ত সংঘর্ষে সেনা খোওয়ানোর পরেও যথেষ্ট শিক্ষা হয়নি চিনের। তাদের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবার চিন থেকে তিব্বতের লিনঝি প্রদেশ পর্যন্ত রেললাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এই এলাকা অরুণাচল প্রদেশের বেশ কাছে। জিনপিংয়ের দাবি, এর ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও স্থিতাবস্থা রক্ষিত হবে।

রেললাইনটি তৈরি হবে চিনের দক্ষিণ পশ্চিমে সিচুয়ান প্রদেশ থেকে তিব্বতের লিনঝি বা নিংচি পর্যন্ত, যা অরুণাচল সীমান্তের কাছে। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৭.৮ বিলিয়ন ডলার।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিব্বতকে রেলপথের মাধ্যমে চিন ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করতে চলেছে বেজিং।  এর আগে কিংঘাই-তিব্বত রেল প্রকল্প হাতে নেয় তারা। চিনের সরকারি মদতপুষ্ট সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ এলাকা কিংঘাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ পূর্ব দিক দিয়ে এই রেলপথ পাতা হবে। আর সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে শুরু হচ্ছে সিচুয়ান প্রদেশের চেংদু থেকে, ইয়ান, কামদো হয়ে ঢুকছে চিনে। এর ফলে চেংদু থেকে তিব্বতের রাজধানী লাসার দূরত্ব ৪৮ ঘণ্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ১৩ ঘণ্টা।

চিনের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ তাদের অধিকৃত দক্ষিণ তিব্বতের অংশ, যা ভারত কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা নিয়ে দু’দেশের বিতর্ক রয়েছে।

সীমান্ত এলাকার এই লিনঝিতে চিন একটি বিমানবন্দরও তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে তিব্বতে ৫টি বিমানবন্দর বানিয়েছে চিন।

জিনপিং ইঙ্গিতপূর্ণভাবে দাবি করেছেন, সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে শুধু তিব্বতের আর্থিক উন্নয়নই করবে না, তা সীমান্তে স্থিতাবস্থা রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।