কলকাতা: করোনা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এন-৯৫ মাস্কের দান প্রায় অর্ধেক কমল। ন্য়াশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ হস্তক্ষেপ করায় এই মাস্কের নির্মাতা ও আমদানিকারী সংস্থাগুলি এর দাম ৪৭ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।


এতদিন এক একটা এন-৯৫ মাস্ক দেশে বিক্রি হচ্ছিল ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দামে। কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রক এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে বলে, ২১ মে  এনপিপিএ সব নির্মাতা, আমদানিকারী ও সরবরাহকারী সংস্থাকে নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে এন-৯৫ মাস্কের দামে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে, দাম হতে হবে বাস্তবোচিত। এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরই মাস্কের দাম সস্তা হয়েছে।

এনপিপিএ বম্বে হাই কোর্টকে জানিয়েছে, এন-৯৫ মাস্কের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার বিষয়টি খেয়াল করছে তারা, এ ব্যাপারে মাস্কের নির্মাতা, আমদানিকারী ও সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিকে স্বেচ্ছায় দাম কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। নির্দেশিকা জারি করার পরেই এন-৯৫ মাস্কের দাম চোখে পড়ার মত কমে গিয়েছে, নিশ্চিত করা হচ্ছে, যেন দেশের সকলে এই মাস্ক পকেটসাধ্য দামে পান।  দেশে যথেষ্ট সংখ্যায় যাতে এই মাস্ক পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র। এ জন্য পাইকারি হারে বিশালসংখ্যক মাস্ক নির্মাতা, আমদানিকারী ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে তারা সরাসরি কিনছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

অত্যাবশ্যক পণ্য আইন, ১৯৯৫-এর আওতায় কেন্দ্র এন-৯৫ মাস্ককে অত্যাবশ্যক পণ্য বলে ঘোষণা করেছে।

এর আগে এনপিপিএ সবকটি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, যাতে সার্জিক্যাল ও প্রোটেকটিভ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভসের দাম প্যাকেটে লেখা ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইসের বেশি না নেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা হয়। এন-৯৫ মাস্কের কালোবাজারি যাতে না হয়, তাও দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে।