কোল্লাম: ঘরে গোখরো সাপ ছেড়ে স্ত্রীকে খুন করল কেরলের এক ব্যক্তি। এর আগেও সাপ ছেড়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশ সোমবার জানিয়েছে।


তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী সুরাজ তার স্ত্রী উথরাকে খুন করতে ওই সাপ কিনে এনেছিল। ইন্টারনেটে সাপের ভিডিও-ও দেখত সে। স্ত্রীকে মেরে তাঁর টাকাপয়সা ও গয়নাগাটি হাতিয়ে অন্য কাউকে বিয়ের পরিকল্পনা সুরাজের ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গত ৭ মে উথরাকে তাঁদের কোল্লামের বাড়িতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সাপের কামড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে জেনে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। গত মার্চেও সাপের কামড় খেয়েছিলেন তিনি।

সুরাজ ও উথরার এক বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, ২৭ বছরের সুরাজ স্ত্রীকে হত্যার প্রথম ছক কষেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।  তার বন্ধু সুরেশের কাছ থেকে বিষাক্ত সাপ কিনেছিল সুরাজ। সুরেশ সাপুড়ে। ওই সাপ উথরাকে কামড়ানোর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাসখানেকের চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন উথরা।

প্রথমবার ছক বানচাল হয়ে যাওয়ায় গত এপ্রিলে সুরেশের কাছ থেকে একটি গোখরো কিনেছিল সুরাজ।

গত ৫ মে বাড়িতে যখন স্ত্রী উথরা ঘুমোচ্ছিলেন তখন ওই সাপটি তাঁর দিকে ছুঁড়ে দেয় সুরাজ। বিছানায় বসে স্ত্রীকে দুবার সাপটিকে ছোবল বসাতে সুরাজ দেখেছিল বলে অভিযোগ। পরের দিন সকালে উথরাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে সাপের কামড়ে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সুরাজ সাপটিকে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু সাপটি পালিয়ে যায়। স্ত্রীর মৃত্যুর কথা জানানোর আগে নিদ্রাহীন রাত কাটায় সুরাজ। পরে সাপটিকে ওই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয়।

উথরার মৃত্যুর কয়েকদিন পর যখন সুরাজ তাঁর সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করছিল, তখন উথরার বাবা-মা পুলিশের দ্বারস্থ হন।

পুলিশ জানিয়েছে, অর্থের জন্য এই অপরাধ করেছে সুরাজ। বিয়েতে পণ হিসেবে প্রচুর সোনাদানা ও অর্থ পেয়েছিল সে। কিন্তু এরপর সে অন্য কাউকে বিয়ের কথা ভেবেছিল।