বীরভূম: মাইকে কখনও ভেসে আসছে সহজপাঠের শিক্ষা। কখনও বানান। মাস্টারমশাই, দিদিমণিদের নির্দেশ মতো তা বাড়িতে বসে লিখে নিচ্ছে পড়ুয়ারা।


লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ নেই সিউড়ির এই প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিকের পড়ুয়াদের। তাদের জন্য এই শ্রুতিপাঠের উদ্যোগ।

স্কুলে যেভাবে পড়ান শিক্ষক শিক্ষিকারা, ঠিক সেভাবে রেকর্ড করে এনে পড়ানো হয় স্কুল চত্বর থেকে। বাড়ি থেকে যাতে কচিকাঁচারা শুনতে পায় তার জন্য গ্রামের রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটিতে বসানো হয়েছে মাইক। মাইকের আওয়াজ শুনে পড়া তৈরি করছে সিউড়ির গজালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নগরীর উদয়ন পাঠশালার পড়ুয়ারা।

শিক্ষক  অরিন্দম বসু বলেন, অনলাইনে পড়ার সুযোগ নিতে পারছে না এখানকার বাচ্চারা, চিপ লোড করে বাজানো হচ্ছে, ঘরে বসে ওরা মনে রাখার চেষ্টা করবে, পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে, সফল হলে জেলার অন্যত্র এভাবে পড়ানো হবে।

গৃহবন্দি পড়ুয়াদের জন্য এমন উদ্যোগের কারণ কী? ওই শিক্ষক বলেন, এই এলাকায় বিদ্যালয়ই পড়াশোনার প্রধান মাধ্যম,যখন স্কুল খুলত তখন পড়াশোনার ভয়ে অনেকে স্কুলছুট হয়ে যেত, তার জন্য এই পদক্ষেপ, অভিভাবকদের সচেতন করছি, বাচ্চারা বই নিয়ে বসছে।

সকাল ৭টা বাজলে খুদের দল মাদুর নিয়ে বসে পড়ে। তারপর মাইকে শুনে পড়াশোনা। অন্য ধরনের দু ঘণ্টার ক্লাস নিয়ে এদের কৌতুহলের শেষ নেই।