নয়াদিল্লি: গুরু তেগ বাহাদুরকে শ্রদ্ধা জানাতে হঠাৎই গুরুদ্বারে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সকালে দিল্লির রাকাব গঞ্জ সাহিব গুরুদ্বারে যান তিনি। সেখানে গিয়ে গুরু তেগ বাহাদুরকে শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে তিনি শিখ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিদর্শন কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুই জানত না মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফলে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা যায়নি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। এদিন মোদির সঙ্গে ছবিও তোলেন তাঁরা।



৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন আজ ২৫ দিনে পড়ল। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছেন পঞ্জাবের কৃষকরা। আর এদিনই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গুরুদ্বারে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, শনিবারই ট্যুইট করে গুরু তেগ বাহাদুরকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন মোদি। এদিন ছিল তাঁর প্রয়াণ দিবস। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, শ্রী গুরু তেগ বাহাদুর তাঁর জীবনে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। শহিদ দিবসে সমাজের প্রতি তাঁর অবদানকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।



উল্লেখ্য, শিখদের ১০ জন গুরুর মধ্যে নবম গুরু ছিলেন গুরু তেগ বাহাদুর। গুরু হরগোবিন্দের ছেলে গুরু তেগ বাহাদুর। ১৬২১ সালে অমৃতসরে জন্ম হয় তাঁর। তাঁর আত্মবলিদান দিবসে শহিদ দিবস পালন করে থাকেন শিখরা।

এদিকে আজই শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করেছেন কৃষকরা। আন্দোলনরত অবস্থায় যেসব কৃষকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়ালা জানান, এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে জগজিৎ সিং দাল্লেওয়ালা বলেন, বিক্ষোভ দেখাতে ১৪জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সারা ভারত কিষাণ সভার দাবি, ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে আন্দোলনরত অবস্থায়।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরোধিতায় নেমেছেন কৃষকরা। গত ২৬ নভেম্বর থেকে তাঁরা রাজধানীর রাজপথে আন্দোলন করছেন।  রাজধানীর কনকনে ঠান্ডায় রাস্তায় বসে আছেন তাঁরা। দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে মেলেনি সমাধান সূত্র। খোদ অমিত শাহ আসরে নামলেও অনমনীয় কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশ বিদেশে রাষ্ট্র প্রধানরা। সংহতি জানাচ্ছে বিরোধী দলগুলিও। সমর্থন জানানের তালিকায় আছেন থেকে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষও।