অমিত জানা, দাঁতন: করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিলের সামগ্রী বাড়িতে মজুত করার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের একামালিপুর গ্রামে শিক্ষকের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
করোনা আবহে বন্ধ রয়েছে স্কুল। তবে সময়মতো দেওয়া হচ্ছে মিড ডে মিলের সামগ্রী। গোটা বিষয়টি সাধারণত তদারকি করে থাকেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষক। কিন্তু সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই মিড ডে মিলের চাল-ডাল, নিজের বাড়িতে মজুত করার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। রবিবার সকালে যা নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের একমালিপুরে।
শনিবার নাগপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের সামগ্রী আসে। কিন্তু অভিযোগ, সেইসব সামগ্রী স্কুলে পৌঁছনোর ২ কিলোমিটার আগেই নিজের বাড়িতে নামিয়ে নেন প্রধানশিক্ষক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এদিন সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে ভিড় জমান অভিভাবকরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি থেকেই মিড ডে মিলের চাল, ডাল, সোয়াবিন, ছোলা, সাবান উদ্ধার হয়।
এক অভিভাবক বলেন, কাল স্কুলের চাল এসেছে। দেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে খবর পেলাম মাস্টার নিজের বাড়িতে রেখেছেন। উনি বারবার এধরনের কাজ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও দাঁতন এক নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। সকলের সামনে দোষ স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক।
কিন্তু যে সামগ্রী স্কুলের, যা স্কুলে মজুত ও স্কুল থেকেই বিলি করার কথা, তা প্রধানশিক্ষকের বাড়িতে থাকবে কেন? প্রশ্ন করতেই অভিযুক্তের গলায় সাফাইয়ের সুর। দাঁতন নাগপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক বলেন, কাল বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই ট্রাক্টর থেকে নামিয়ে বাড়িতে রেখেছি। গাড়িটা স্কুল পর্যন্ত যাবে না বলে আমার বাড়িতে গতকাল আনলোড করেছি। চালটা তো আমার বাড়িতেই স্টক আছে। বিক্রি করছেন? সেটা প্রমাণযোগ্য। গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
দাঁতন ১ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও তারক অধিকারী বলেন, ঘটনাস্থলে অভিযোগ পেয়ে এসেছি। তদন্ত করে দেখছি। তার কথা শুনেছি। কেন চাল নামিয়েছেন লিখিত দিচ্ছেন। খতিয়ে দেখছি। আইনত ঠিক করেননি।এদিন ঘটনাস্থলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গেলে, তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ।