কলকাতা: ভ্যাকসিন-সঙ্কট কাটাতে তৎ‍পর হল রাজ্য সরকার। বেসরকারি হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। ১ লক্ষ মানুষকে সেকেন্ড ডোজ ভ্যাকসিন দিতে সাহায্য করা হবে। সেকেন্ড ডোজ দিতে সাহায্য করা হবে বেসরকারি হাসপাতালকে। ভ্যাকসিন আনানোর ক্ষেত্রেও বেসরকারি হাসপাতালকে সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন সঙ্কটও দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। ১ মে থেকে তৃতীয় দফায় শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। তার জন্য আগাম প্রস্তুতি। রাজ্য জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে উৎ‍পাদনকারী সংস্থার সঙ্গেও কথা বলা হবে।


ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ না পাওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি, রাজ্য়ের একাধিক হাসপাতালে ভ্যাকসিনের জন্য লম্বা লাইন মানুষের। কিন্তু তারপরেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।


কলকাতায় এল কোভিশিল্ডের আরও ১০ লক্ষ ডোজ ৷ এই ১০ লক্ষ ডোজের মধ্যে ৪ লক্ষ ডোজ পেল রাজ্য ৷ বাকি ৬ লক্ষ ডোজ থাকবে হেস্টিংসের সেন্ট্রাল স্টোরে ৷ সেগুলিকে পাঠানো হবে অন্যান্য রাজ্যে ৷


দেশজুড়ে তৃতীয় দফার কোভিড টিকাকরণ শুরু হচ্ছে ১ মে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও ব্যক্তি নিতে পারবেন এই টিকা। গত ১৯ এপ্রিল ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র। আজ, বুধবার বিকেল চারটে থেকে শুরু হচ্ছে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ।


দু'ফায় টিকাকরণ হয়েছে আগেই। পয়লা মে থেকে ফের শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ। আজ থেকে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন প্রাপ্তবয়স্করা। অতীতে প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরাই কোভিড টিকা নিতে পারছিলেন। পরে অবশ্য টিকাকরণে যুব প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৯ এপ্রিল টিকাকরণের বিষয়ে নতুন করে নির্দেশিকা জারি হয়।