মুম্বই: ১২ বছর বয়সে আমেরিকা গিয়েছিলেন। দেশে ফেরেন ১৬ বছর বয়সে, তখন তিনি ‘প্রায় নারী’। ছোট্ট মেয়েকে বড় হয়ে যেতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন বাবা, কড়াকড়ি জারি করেছিলেন তাঁর আঁটোসাঁটো পোশাক পরার ওপর এ নিয়ে বাবার সঙ্গে তাঁর প্রচণ্ড ঝামেলা হয়েছিল। প্রয়াত বাবা অশোক চোপড়ার স্মৃতিচারণ করলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
এক সংবাদপত্রে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, দেশ ছাড়ার সময় তিনি ছিলেন কোঁকড়া চুলের ১২ বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে। ৪ বছর পর যখন ফিরে আসেন, তখন তিনি ১৬। বাবা দেশেই ছিলেন, মেয়েকে এভাবে বড় হয়ে যেতে দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। প্রথম কয়েক সপ্তাহ মেয়েকে নিয়ে কী করা যেতে পারে বুঝতেই পারছিলেন না। স্কুল থেকে ফেরার সময় ছেলেরা তাঁর পিছু নিত, আর এতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর এতদিনের প্রগতিশীল বাবা। মেয়ের টাইট পোশাক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। এ নিয়ে দু’জনের খুব ঝামেলা হয়।
তবে বাবার সঙ্গে জামাকাপড় নিয়ে অশান্তি হলেও তাঁরা দু’জনে ভীষণ বন্ধু ছিলেন। বাবা তাঁকে বলেছিলেন, ভাল, খারাপ যাই করে থাক, এসে আমাকে বলতে পার। আমি তোমার সমস্যা মেটাতে সাহায্য করব। তোমার বিচার করতে বসব না, আমি সব সময় তোমার পাশে, তোমার দলে। প্রিয়ঙ্কা আরও জানিয়েছেন, তিনি বরাবর আমেরিকা গিয়ে স্কুলের পড়া করতে চেয়েছিলেন, কারণ মার্কিন হাই স্কুলের জীবন তাঁকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করত। ছাত্রচাত্রীদের নিজস্ব লকার আছে, ইউনিফর্ম নেই, মেয়েরা মেকআপ করে, অষ্টম শ্রেণিতেই ভুরু প্লাক করতে পারে- এই স্বাধীনতা নিজের জীবনে পেতে চাইতেন তিনিও। তাই ১২ বছর বয়সে তাঁর আমেরিকা যাত্রা।
প্রিয়ঙ্কা বিয়ের পর পাকাপাকিভাবে বাস করছেন লস অ্যাঞ্জেলসে, তবে নিয়মিত ভারতে আসেন। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে আইসোলেশনে আছেন তিনি, তার মধ্যেই আর্থিক সাহায্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল সহ অন্যান্য নানা সংগঠনে।
Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
বাবা আঁটোসাঁটো পোশাক পরতে দিতেন না, ঝগড়া হয়েছিল, স্মৃতিচারণ প্রিয়ঙ্কার
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
04 Apr 2020 08:08 AM (IST)
তবে বাবার সঙ্গে জামাকাপড় নিয়ে অশান্তি হলেও তাঁরা দু’জনে ভীষণ বন্ধু ছিলেন। বাবা তাঁকে বলেছিলেন, ভাল, খারাপ যাই করে থাক, এসে আমাকে বলতে পার। আমি তোমার সমস্যা মেটাতে সাহায্য করব।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -