নয়াদিল্লি: এসপিজি নিরাপত্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, এসব রাজনীতির অঙ্গ, এমনটা হয়েই থাকে! সম্প্রতি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার গাঁধী পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকির মাত্রা খতিয়ে দেখে তাঁদের এসপিজি সুরক্ষা বলয় প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পরিবর্তে তাঁরা জেড প্লাস সুরক্ষা পাবেন। সিআরপিএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের নিরাপত্তার ভার।
১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর বিস্ফোরণে মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে এসপিজি নিরাপত্তা পাচ্ছিলেন সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। এতদিন বাদে ২ মাস আগে প্রথমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, সম্প্রতি ওই তিনজনের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বিজেপি-এনডিএ সরকার প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। পাল্টা অবশ্য বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নড্ডা বলেন, এসপিজি কভার তুলে নেওয়ার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। সংসদে কংগ্রেসের তীব্র আপত্তির মধ্যে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটা স্পষ্ট মাপকাঠি আছে। একটা প্রটোকলও আছে। এগুলি কোনও রাজনীতিক ঠিক করেন না, করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কার জীবনের ঝুঁকি কতটা, তার ভিত্তিতে নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়, তুলেও নেওয়া হয়।
মঙ্গলবারই লোকসভায় প্রসঙ্গটি তুলে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি গাঁধী পরিবারের এসপিজি সুরক্ষা প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেন। জিরো আওয়ারের সময় বলেন, আমাদের নেতৃত্বের জীবনের ঝুঁকি আছে।