নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একহাত নিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
সাম্প্রতিককালে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির হয়ে জোরালো সওয়াল করেছেন অমিত শাহ, যিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিও বটে। এই দুই বিষয়ের কথা বলতে গিয়ে মানুষকে ঘটনাক্রম বুঝতে বলেছেন শাহ। জানিয়েছেন, সিএএ-র পরই আসবে এনআরসি। তিনি এ-ও বলেছেন, দেশব্যাপী এনআরসি চালু হবেই।
এই নিয়ে শুক্রবার, মোদি সরকারকে ফের আক্রমণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। ট্যুইটারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ঘটনাক্রম বুঝে নিন। প্রথমে ওঁরা ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে আসবে। ক্ষমতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ধ্বংস করবে। তারপর ধ্বংস করবে দেশের সংবিধান। তখন আপনারা প্রতিবাদ করবেন। ওঁরা আপনাদের বোকা বলবে। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম তাঁদের লড়াই থেকে একচুলও সরবে না।





এর আগে মঙ্গলবার, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) নিয়ে যাবতীয় ধন্দের অবসান ঘটাতে অমিত শাহ জানিয়ে দেন, এনপিআর ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। শাহ বলেন, এনপিআর-এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্যকে কোনও অবস্থাতেই এনআরসি-তে ব্যবহার করা হবে না। কারণ, তা ভিন্ন প্রক্রিয়ায় তৈরি। তিনি এ-ও জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই করেনি।
এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে সম্প্রতি অমিত শাহের মন্তব্যে জোর বিতর্ক হয়। তাঁর ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যের মধ্যে যে পরস্পর-বিরোধী, তা হাতিয়ার করে কেন্দ্র তথা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বিরোধীরা। সেই বিতর্কের অবসান ঘটান অমিত। বলেন, মোদিজিই ঠিক। এনআরসি নিয়ে মন্ত্রিসভা বা সংসদ--কোথাও কোনও আলোচনাই হয়নি। তাই এই নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হওয় ইস্তক দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন হিংসায় ২৫ জন মারা গেছেন। কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। প্রথম থেকেই সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার প্রিয়ঙ্কা। সোমবার, দিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। মঙ্গলবার, উত্তরপ্রদেশে গুলি চালানোর ঘটনায় মেরঠে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। যদিও, তাঁদের আটকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।