অমেঠি: কোভিডের সুবিধা নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল। লাগামছাড়া চার্জ বসানো হচ্ছে কোভিড রোগীদের ওপর। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে নাভিশ্বাস উঠছে ইউপিবাসীর। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে যোগী সরকারকে চিঠি পাঠালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।


চিঠিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কংগ্রেস নেত্রী বলেছেন, ''করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে রাজ্যবাসীকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এ সবই প্রশাসনের পরিকল্পনার অভাবের ফলে হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে অকল্পনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালে কেবল রাজ্য সরকারের নিয়ম ও লাল ফিতের ফাঁসে মানুষের সমস্যা আটকে রয়ছে। এসবই রাজ্যের অপরিণামদর্শিতার ফল।''


এখানেই অবশ্য থেমে থাকেনি উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস জেনারেল সেক্রেটারির বাক্যবান। চিঠিতে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ''রাজ্যবাসী এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত। কারণ আয় কমার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে জিনিসপত্রের। যার ফলে সমস্যার মুখে পড়েছে মধ্যবিত্ত। তাদের উদ্ধার করতে সমাজ কল্যাণমূলক নীতি গ্রহণ করুন।''


রাজ্যবাসীকে এই কোভিড পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলতে পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ''প্রাইভেট হাসপাতালগুলি এখন কোভিড রোগীর চিকিৎসায় বড় ভূমিকা নিচ্ছে। যদিও পরিবর্তে বিশাল অঙ্কের টাকা নিচ্ছে তারা। অবিলম্বে প্রাইভেট প্লেয়ারসদের সঙ্গে বসে চিকিৎসার খরচ কম করানো হোক। মেডিক্যাল ফেসিলিটি অনুযায়ী ফিক্সড চার্জ করা হোক বেসরকারি হাসপতালে কোভিড চিকিৎসার। এমনকী কোনও হাসপাতাল রোগীর থেকে অত্যধিক ফি নিলে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ানোর ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।''


পরামর্শ চিঠিতে ইউপির মুখ্যমন্ত্রীকে প্রিয়ঙ্কা আরও বলেছেন, ''অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে নিয়ন্ত্রণ আনুক রাজ্য সরকার। লকডাউনে ফিক্সড প্রাইসে বিক্রি হোক ভোজ্য তেল, সব্জি, ফল। বিদ্যুতের মাশুলের জেরেও সমস্যার মধ্যে পড়েছে রাজ্যবাসী। তাদের স্বস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার।'' 


রাজ্যে স্কুল বন্ধ থাকলেও ফি গুণতে হচ্ছে অভিভাবকদের। সেই ক্ষেত্রে ইউপির স্কুলগুলির সঙ্গে বসে ফি মুকুবের কথা ভাবুক রাজ্য। প্রয়োজনে স্কুলগুলিকে আলাদা করে আর্থিক সাহায্য করা হোক। লকডাউনের ফলে যাদের ব্যবসা ও দোকান বন্ধ রয়েছে তাদের জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা নিক রাজ্য সরকার।