নয়াদিল্লি: হাথরসের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে যে ১৯ বছরের মেয়েটি নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ১৪দিনের লড়াইয়ের পর মারা গিয়েছে, যার দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে, তার পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের বাড়ি গিয়ে দেখা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সূত্রের খবর, পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। যে কোনও সময় যেতে পারেন তিনি।


দফায় দফায় ট্যুইট করে এ ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই, কে মেয়েটিকে দেহ পুড়িয়ে দিতে বলল, তার পরিবারের অন্ত্যেষ্ঠির অধিকার কেড়ে নিয়ে? গত ১৪ দিন আপনি কোথায় ঘুমিয়ে ছিলেন? কেন আপনি ব্যবস্থা নেননি, কেমন মুখ্যমন্ত্রী আপনি!
উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী আরেকটি ট্যুইটে লেখেন, ফোনে হাথরসের নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। আমি শুনেছি, ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি কেঁদে ফেলেছেন। তিনি আমায় বলছিলেন, তিনি মেয়ের জন্য ন্যয়বিচার চান শুধু। গতকাল রাতে শেষবারের মতো মেয়েকে বাড়ি নিয়ে এসে তাঁর অন্ত্যোষ্ঠির সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।