নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিনের লকডাউন অসংখ্য মানুষকে অস্তিত্বের সঙ্কটে ঠেলে দিতে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর দুভুরি সুব্বা রাও। তাঁর আশা, করোনা সঙ্কট শেষ হলে ইংরেজি ভি-র মত বৃদ্ধির পথে ফিরবে ভারতীয় অর্থনীতি।
একটি ওয়েব সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন সুব্বারাও, নাম- হিস্টরি রিপিটস- বাট ডিফারেন্টলি- লেসনস ফর দ্য পোস্ট-করোনা ওয়ার্ল্ড। ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর ঊষা থোরাটও। সুব্বারাও বলেন, বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মনে করছেন, ভারতে এ বছর নেগেটিভ গ্রোথ হবে। কিন্তু মনে রাখা উচিত, করোনা সঙ্কট শুরু হওয়ার ২ মাস আগেই আমাদের বৃদ্ধির গতি ঢিমে হয়। আর এখন পুরোপুরি থেমে গিয়েছে। গত বছর বৃদ্ধি ছিল ৫ শতাংশ, এ বছর হয় নেগেটিভ বা জিরো গ্রোথ হবে। অর্থাৎ ৫ শতাংশ পতন।
তিনি আরও বলেছেন, এটা সত্যি যে বেশিরভাগ দেশের তুলনায় ভারত এই সঙ্কট ভালভাবে সামলাবে। কিন্তু সেটা কোনও সান্ত্বনা হতে পারে না কারণ আমাদের দেশ অত্যন্ত দরিদ্র, লকডাউন দ্রুত প্রত্যাহার না করা হলে অসংখ্য মানুষ অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বেন।
কিন্তু এরপরেও ভি শেপড বৃদ্ধির আশা কেন? সুব্বারাও বলেছেন, কারণ এটা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। সাইক্লোন বা ভূমিকম্পের মত এতে আর্থিক ক্ষতি হয়নি। আমাদের কলকারখানা, দোকানপাট সবই কর্মক্ষম। লকডাউন উঠে গেলেই সবাই কাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ২০০৮-এর বিশ্বজোড়া মন্দার সময়েও ভারত অন্য দেশের থেকে দ্রুত বৃদ্ধির পথে ফিরে আসে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আইএমএফ বলেছে এ বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ১.৯ শতাংশের মত। সুব্বারাওয়ের বক্তব্য, এই হিসেব পুরনো, এবার জিডিপির নেগেটিভে নেমে যাওয়ার পুরোদস্তুর সম্ভাবনা। জীবন বনাম জীবনধারণের এই বিতর্ক ভারতে খুব বেশি দিন থাকবে না বলে তাঁর ধারণা। আবার ঊষা থোরাটের মতে, সিস্টেমে বেশি অর্থ ঢাললেই যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে তা নয়, ব্যাঙ্ক ও অন্য়ান্য ঋণদানকারী সংস্থার ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রয়োজন। রাজ্যগুলিকেও দরকার আরও সাহায্য করা।