কলকাতা: শ্যালকের ছেলে থেকে শুরু করে অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা। এরকমই ৬ জনকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে বসিয়েছেন রাজ্যপাল। গতকাল অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে মহুয়া মৈত্রর ট্যুইটের জবাব দিলেন রাজ্যপাল।


এদিন ট্যুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, "ওএসডি পদে ৬ আত্মীয়কে নিয়োগের প্রচার তথ্যগতভাবে ভুল। ৩টি রাজ্য থেকে চার ভিন্ন জাতের ব্যক্তিকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা কেউই আমার নিকট আত্মীয় নন। তাঁরা আমার রাজ্যেরও নন। নজর ঘোরাতে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।"



এরপরই আজ, সোমবার ফের পাল্টা ট্যুইট করেছেন মহুয়া মৈত্র।  রাজ্যপালকে আঙ্কলজি সম্বোধন করে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, এঁদের পূর্বসূরী কারা এবং কীভাবে এঁরা রাজভবনে ঢুকলেন, তা এখনই জানান। বিজেপির আইটি সেলও আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আমার মনে হয় না, উপ রাষ্ট্রপতি আপনার জন্য কিছু করবেন। 



গতকাল, রবিবার ঠিক কী অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ?


এদিন একটি ট্যুইট করে তৃণমূল সাংসদ ৬ জনের নাম উল্লেখে করেছেন। এমনকী সংশ্লিষ্টরা সম্পর্কে  সঙ্গে রাজ্যপালের কে হন তারও তালিকা তৈরি করেছেন মহুয়া মৈত্র।  তৃণমূল সাংসদ বলেন, "অভুদয় সিংহ শেখাওয়াত রাজ্যপালের শ্যালকের ছেলে। অখিল চৌধুরীর নিকট আত্মীয়। রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি গৌরাঙ্গ দিক্ষিতের স্ত্রী  রুচি দুবে, প্রশান্ত দিক্ষিত গৌরাঙ্গ দিক্ষিতের ভাই। বর্তমানে যে এডিসি রয়েছেন তাঁর শ্যালক কৌস্তভ ভালিকার। কিষাণ ধনকড় রাজ্যপালের নিকট আত্মীয়।"



তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, এখানে পুরো তাঁর গ্রাম নিয়ে রাজভবনে বসিয়ে রাখছেন আর সরকারি টাকায় তাঁদের পোষণ হচ্ছে? মহুয়া মৈত্র বলেন, তিনি সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বসে সরকারকে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলে যাবেন। তিনি নিজে আয়নায় দেখুন রাজ্যপালের অফিস আর নিজের চেয়ারকে তিনি কোন তলানিতে নামিয়ে এনেছেন। এটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য লজ্জার ব্যাপার। এটা কি তাঁর গ্রাম নাকি? তাঁর পুরো গুষ্টিকে নিয়ে সরকারি টাকায় পোষণ করছে?  এই প্রশ্ন আমরা তো তুলতে পারি। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে গুষ্টি নিয়ে ফিরে যান।