নয়াদিল্লি: কোনও গণ আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে পারেন তারকারা। কিন্তু সেই তারকাই যদি গণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, তাহলে কেমন প্রভাব পড়ে? চলতি কৃষক আন্দোলন নিয়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য ঘিরে বারবার এই প্রশ্ন উঠে এসেছে। আন্দোলন বিরোধী মন্তব্যের জেরে এবার কঙ্গনা ছবি বয়কটের ডাক দিলেন পঞ্জাবের কৃষকরা।


ঘটনা কী? শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন বিলকিস বানু। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভের বিখ্যাত মুখ তিনি। যিনি দাদি নামে পরিচিত। পঞ্জাবের আন্দোলনে তিনি যোগ দিয়েছেন বলে কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। শুধু তাই নয়, কোনও কিছু না জেনেই প্রৌঢ়া আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বলে আক্রমণ করেছেন বলি অভিনেত্রী। টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে কঙ্গনা বলেছেন, শাহিনবাগের 'অশিক্ষিত দাদি' কোনও তথ্য ছাড়াই এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। যারা কিছু জানেন না তাঁদের এইভাবে প্রচারের মুখ করা হয়। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন আন্দোলনকারীরা।

পঞ্জাবের একধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা সংস্থা কঙ্গনার ট্যুইট নিয়ে বৈঠকে বসে। ওই বৈঠক শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাবের কোনও হলে দেখানো হবে না কঙ্গনার ছবি। ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন গায়ক দিলজিৎ দোশাঞ্জ। তাঁকে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা রানাউত। কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতা করে ট্যুইটে আক্রমণ করেন দিলজিৎকে। শুধু তাই নয়, এই বক্তব্যের জন্য নিজের হয়ে সাফাই গেয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, এক খালিস্তানীদের জন্য লড়াই করেছিলাম। কিন্তু শিখরা এখন আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে।

৩ কৃষি আইন। আর এই ৩ আইনের জেরে বদলে গিয়েছে দেশের চিত্র। কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তাল সারা দেশ। আবহাওয়ার পারদ যত নামছে, ততই চড়ছে আন্দোলনের উত্তাপ। রাজধানীর বুকে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন দেশ বিদেশে রাষ্ট্রনেতা থেকে অভিনেতা অভিনেত্রীরা।