পুনে: শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর কিং-খান পুত্রের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন এই ব্যক্তি। সেখানে আরিয়ানকে 'পোজ' দিতেও দেখা যায়। যে ছবি প্রকাশ্যে আসতে মূহুর্তে ভাইরাল হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ওই ব্যক্তি এনসিবি আধিকারিক। কিন্তু ছবি ভাইরাল হতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে। এরপরই তাঁরা জানায় যে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।
যদিও এবার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার লুক আউট নোটিস জারি করল মহারাষ্ট্রের পুনে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম কিরণ পি গোসাভি ।মুম্বই থেকে গোয়াগামী যে প্রমোদতরীর মাদক পার্টি থেকে আরিয়ানকে ধরা হয় সেখানেই এই ব্যক্তিও ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানিয়েছেন যে কিরণ এখন পলাতক। দেশ ছেড়ে যাতে পালাতে না পারে তাই 'লুক আউট' নোটিস জারি করা হয়েছে।
তবে ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলার সূত্র ধরে এই লুক আউট নোটিস জারি হয়েছে, এমনটাই জানান হয়েছে। পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় চাকরি দেওয়ার অজুহাতে পুনের বাসিন্দাকে ঠকানোর অভিযোগে গোসাভির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এমনকী কিরণ নিজেকেই নিজে 'গোয়েন্দা' বলেও পরিচয় দেন, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল? মালয়েশিয়ায় চাকরির একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কিরণ। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুণেরই এক ব্যক্তি। কিরণ তাঁর থেকে তিন লক্ষ টাকা নিলেও চাকরি দেননি। ফেরত দেননি টাকাও।
এদিকে, আজ আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর না হলে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত আর্থার রোড জেলেই বন্দি থাকতে হবে শাহরুখ পুত্রকে। আগামিকাল থেকে নবরাত্রি উপলক্ষ্যে বন্ধ থাকবে বম্বে হাইকোর্ট-সহ মহারাষ্ট্রের সমস্ত আদালতের কার্যকলাপ।
পাঁচদিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষে বৃহস্পতিবার আরিয়ান খানকে আর্থার রোড জেলের মূল ব্যারাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবাদসংস্থা এএনআই। গ্রেফতার সকলের প্রত্যেকের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, জানিয়েছেন আর্থার রোড জেলের সুপারিন্টেনডেন্ট নীতিন ওয়েচাল। গত শুক্রবার আরিয়ান খানকে আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।