পুণে : ১৩ টি পুলিশবাহিনী, পুলিশ কুকুরের লাগাতার অনুসন্ধান, ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশির পর ধরা পড়ল পুণে ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্ত। মঙ্গলবার পুনেতে বাসের ভেতরে মহিলাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত গা-ঢাকা দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছিল। নানা ভাবে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিলেও পুলিশ-কুকুর ধরিয়ে দিল তাকে। আর অভিযুক্তের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করল একটি শার্ট। 


অভিযোগ, বাসের ভিতর মহিলাকে ধর্ষণ করে মাস্ক পরে পালিয়েছিল সে। এরপর সারা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। মনে করিয়ে দেয় নির্ভয়াকাণ্ড। অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গারের মুখ মাস্কে ঢাকা থাকলেও পুলিশ চিনে ফেলে দাগী অপরাধীকে। এর আগেই একাধিক খারাপকাজ ঘটিয়েছে সে। মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে পুলিশ পুণে জেলা এবং  বাইরে শুরু করে চিরুনিতল্লাশি। কাজে লাগানো হয় ড্রোন। ১০০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী  ১৩ টি দলে ভাগ হয়ে খোঁজ শুরু করে। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০:৩০ মিনিটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত । সে সময় আত্মীয়রাই সেই খবর পুলিশকে জানায়, দাবি এনডিটিভি প্রতিবেদনে।  


প্রতিবেদনে দাবি, পুলিশ জানিয়েছে, গা-ঢাকা দিয়ে অভিযুক্ত গেড়ে  পরিবারের কাছে কবুল করেছিল অপরাধের কথা। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছিল গেড়ের ছেড়ে ফেলা একটিশার্ট। তার গন্ধ অনুসরণ করে করেই অভিযুক্তের আত্মীয়ের গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। গেড়ে  আত্মীয়দের বাড়ির কাছে একটি খালের কাছে একটি আখ ক্ষেতে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।  


পুনের শিরুরের বাসিন্দা অভিযুক্তের বয়স ৩৭। একাধিক অপরাধ ঘটানোর ইতিহাস আছে তার।  অহল্যনগর জেলার ভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ রয়েছে। চুরি , ডাকাতি, ছিনতাই , নানা অপরাধে জেল খেটেছে সে।  ২০১৯ সাল থেকে জামিনে রয়েছে সে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি, অভিযুক্ত রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিল। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতার হয়ে কাজ করেছিল বলে খবর। 


জানা গিয়েছে,পুণের স্বরগেট ডিপোতে প্রায়ই সে নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে দাবি করে ঘুরে বেড়াত। নির্যাতিতার কাছেই সে নিজেকে পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল।  "দিদি"  সম্বোধন করে, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সে সুযোগ নেয়। ভুল বাসে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।  


আরও পড়ুন : পুলিশের জালে পুণে ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্ত