নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯- এ মৃতের শেষকৃত্যে থাকলে সেখান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা, আতঙ্ক কাটাতে পঞ্জাবের রূপনগর জেলার এক ৫৫ বছর বয়সি মৃতকে দাহ করার অনুষ্ঠানে গেলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিংহ সান্ধু ও প্রযুক্তি, কলাকৌশল মন্ত্রী চরণজিত্ সিংহ মৃত ব্যক্তির অন্ত্যোষ্টিতে যোগ দিতে রূপনগর গ্রামে যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তি মারা যান বুধবার। তিনি চিকিত্সাধীন ছিলেন চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআরে। তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হন, তবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনেও ভুগছিলেন বলে সূত্রের খবর। তিনি মারা যাওয়ার পর রোগ ছড়ানোর ভয়ে তাঁকে দাহ করতে রাজি হচ্ছিলেন না এলাকার লোকজন। এটা শুনে দুই মন্ত্রী আসরে নামেন।
স্বাস্থ্য়মন্ত্রী ফেসবুকে লেখেন, সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেও আশ্বস্ত করেন যে, করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্যে গেলে বিপদের কোনও ভয়ই নেই। সিধু বলেন, আরও বড় ব্যাপার হল, ছাই থেকে বিপদ হয় না। কেননা স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন, প্রোটোকল মেনেই শেষকৃত্য় হয়।
গত কয়েকদিনে আত্মীয়স্বজনেরা করোনাভাইরাসে মৃতের দেহ নিতে না চাওয়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। লুধিয়ানায় গত সোমবার মারা যান ৬৯ বছরের এক মহিলা। তাঁর পরিবার দেহের শেষকৃত্য করতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই তা করতে হয় জেলা প্রশাসনকে। অমৃতসরে ৬৫ বছরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আত্মীয়স্বজন শেষকৃত্য করতে রাজি হয়নি।