পুরী : কয়েক মাস আগেই চিলে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পুরীর জগন্নাথমন্দিরের ধ্বজ। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনেই করতে পারছেন না ভক্ত বা সেবায়েতরা। আবার কিছুদিন আগেই এক্কেবারে নিয়ম ভেঙে মন্দিরের চৌহদ্দির মধ্যে ঢুকে পড়ে ড্রোন। নিয়মের তোয়াক্কা না করে শুটও করা হয়, মন্দিরের মাথায় ধ্বজ লাগানোর বিষয়টি। তখনও শোরগোল পড়ে যায়। এবার ঘটল আরও একটি বেনজির কাণ্ড। এমন ঘটনা নিয়ে পুরীর মন্দিরে পড়ে গিয়েছে বিরাট হইচই। 

আর কয়েকদিন পরেই রথযাত্রা। আর তার কয়েকদিন আগে, শ্রীমন্দির থেকে গায়েব হয়ে গেল ভগবান জগন্নাথের জন্য তৈরি করা ঔষধি নৈবেদ্য। যাকে দশমূল মোদক বলা হয়। সেই বিশেষ মোদক খোয়া যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মন্দিরে। উঠেছে মোদক চুরির অভিযোগ। ওড়িশার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, রাজবৈদ্য কর্তৃক প্রদত্ত ৩১৩টি অমুনিয়া মোদক মন্দিরের নির্দিষ্ট কক্ষে দেবতাকে উৎসর্গ করার জন্য রাখা হয়। এদিনও তেমনটাই হয়েছিল। ২১ জুন, অনাবসর একাদশীর রাতে পবিত্র অনুষ্ঠানের সময়, ৭০টি মোদক গায়েব হয়ে যায়। তার পরই পড়ে যায় শোরগোল। 

ওড়িশার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ভগবান বলভদ্রের পূজারী হলধর দাস মহাপাত্র যখন বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন। তিনিই তখন হাঁকডাক শুরু করেন।  তিনি শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) প্রধান প্রশাসকের কাছে একটি  অভিযোগ করেন। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

স্নান যাত্রায় মহাসমারোহে স্নান করেন জগন্নাথদেব, বলভদ্র, সুভদ্রা। কথিত আছে, তারপরই জ্বরে পড়েন তিন দেব-দেবী। তখন মন্দিরের দোর বন্ধ থাকে। রাজ বৈদ্যে ওষধি-পথ্যে সেরে ওঠেন তাঁরা। তারপর রথের দিন মহাসমারোহে তাঁরা আবির্ভূত হন ভক্ত মণ্ডলে। দশমূল মোদক, জগন্নাথের উদ্দেশে নিবেদিত একটি ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক মোদক।  স্নান পূর্ণিমার পরের পক্ষকাল এই পথ্য তাঁকে অর্পণ করা হয়। ৩ দিন পরই রথযাত্রা। তার আগে এমন ঘটনা পুরীতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।   মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা এবং পবিত্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে।